বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফাঁসি হবে সাকা - মুজাহিদের

আহমেদ আল আমীন

ফাঁসি হবে সাকা - মুজাহিদের

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী --আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ

দুই যুদ্ধাপরাধী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ঝুলতেই হচ্ছে ফাঁসির দড়িতে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে তাদের করা পৃথক আবেদন খারিজ হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। ফাঁসির রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের চার সদস্যের একটি বেঞ্চের পক্ষে গতকাল এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। আদালত বলেন, ‘ডিসমিসড’। আর এর ফলে আইনি লড়াইয়ে চূড়ান্তভাবেই হারলেন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এ দুই অপরাধী। তাদের ফাঁসি কার্যকরে আর আইনি বাধা থাকল না। এখন ফাঁসির রায় কার্যকর কেবল সময়ের ব্যাপার। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদনের সুযোগ পাবেন দুই আসামি। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেনছেন, আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এই দুই আসামির রায় কার্যকর করা হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সর্বোচ্চ আদালতে একই দিনে দুজন সাবেক মন্ত্রীর ফাঁসির আদেশ চূড়ান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। ন্যায়বিচার হয়নি বলে আসামিপক্ষ দাবি করলেও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী মন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিগত চারদলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে এরশাদ সরকারে পূর্ণ মন্ত্রী। আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ সাবেক বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। শুনানি উপলক্ষে আদালতপাড়ায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়। ফাঁসির রায় পুনর্বিচনার আবেদন নাকচ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা কোনো প্রাণভিক্ষার আবেদন করব না। আমার আব্বা জীবনে কখনো কারও ভিক্ষা চাননি। তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। মুজাহিদের ছেলে আলী আহমদ মাবরুর বলেন, আমরা আব্বার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছি। আব্বা এবং তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। এদিকে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ হওয়ায় মুজাহিদের নিজ জেলায় উল্লাস প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। সাকার জম্নস্থান চট্টগ্রামে কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি। একইভাবে এতে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই বিএনপির। তবে প্রতিবাদে আজ সারা দেশে হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।

রায় ঘোষণার আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে বেঞ্চের চার সদস্য এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। প্রধান বিচারপতির ডান পাশে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বামে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার ডানে আসন গ্রহণ করেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে আসন গ্রহণের পর  রিভিউ দুটি খারিজ করেন আদালত। গতকাল সাকা চৌধুরীর রিভিউ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় মুজাহিদের রিভিউ শুনানি। আসামিপক্ষে দুটি আবেদনই শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মুহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে গত জুনে মুজাহিদের এবং হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে জুলাইয়ে সাকা চৌধুরীর ফাঁসি বহাল রাখেন সুপ্রিমকোর্ট।

সাকা চৌধুরীর বিচার : মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২৩টি অভিযোগে সাকা চৌধুরীর বিচার হয় ট্রাইব্যুনালে। এর মধ্যে প্রমাণিত নয়টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত হন তিনি। বিচারিক আদালতে দণ্ডিত নয়টির মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয় আপিল বিভাগে। এর মধ্যে চারটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড; দুটি অভিযোগে ২০ বছর করে এবং বাকি দুটি অভিযোগে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একটি  অভিযোগ থেকে আপিল বিভাগে খালাস পান তিনি।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ২০১০ সালের ২৬ জুলাই। এর আগে অবশ্য নাশকতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা হয় ২৬ জুন। ওই মামলায় একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন তিনি। পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক দেখানো হয় তাকে। ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল ২৩ অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে সাকা চৌধুরীর বিচার শুরু। ২০১৩ সালের অক্টোবরে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সাকা চৌধুরী। আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয় গত ১৬ জুন।

মুজাহিদের বিচার : ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদের বিচার হয় সাত অভিযোগে। এর মধ্যে বিচারিক আদালতে প্রমাণিত তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, একটি অভিযোগে পাঁচ বছর ও একটি অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। প্রমাণিত না হওয়ায় দুটি অভিযোগ থেকে খালাস পান মুজাহিদ। আপিলে একটি অভিযোগে খালাস পান তিনি। তবে প্রমাণিত হয় চারটি অভিযোগ। একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। দুটি অভিযোগে বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। আর ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড হলেও দণ্ড কমিয়ে একটি অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় আসামিকে। বাকি দুই অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে খালাস পাওয়ায় এর বিরুদ্ধে আপিল করেননি মুজাহিদ।

২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার হন মুজাহিদ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারের পর একই বছর ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক দেখানো হয় তাকে। ২০১২ সালে মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। তার বিচার শুরু হয় ২০১২ সালের ২১ জুন। ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই রায় দেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মুজাহিদ। আপিলের শুনানি শুরু হয় গত ২৯ এপ্রিল।

আলোচিত-সমালোচিত সাকা চৌধুরী : বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত-সমালোচিত নাম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সাকা চৌধুরী নামেও তিনি সমধিক পরিচিত। ব্যঙ্গবিদ্রƒপের মাধ্যমে যে কোনো বিষয়কে ব্যাখ্যায় তার জুড়ি মেলা ভার। ১৯৪৯ সালের ১৩ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার গহিরা গ্রামে জম্ন। বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার। মা সেলিনা কাদের চৌধুরী ছিলেন গৃহিণী। স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী। বর্ণাঢ্য এবং বিতর্কিত এক জীবনের অধিকারী এই সাকা চৌধুরী। জীবনভরই থেকেছেন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে। অন্যের সমালোচনার পাশাপাশি আÍসমালোচনাও করেছেন কখনো কখনো। স্পষ্টবাদিতার জন্য প্রশংসিত। কখনো অভিযুক্ত হয়েছেন অশ্লীল উচ্চারণের জন্য। তবে সব পরিচয় ছাপিয়ে একজন পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে পরিচিতি পান সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সদস্য হিসেবে সংসদে নিয়মিত ঝড় তুলেছেন দীর্ঘ ৩৩ বছর। পেশায় ব্যবসায়ী এ রাজনীতিবিদ তিন সন্তানের জনক। ১৯৭৮ সালে মুসলিম লীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতির শুরু। ১৯৮৫ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হন। পরে আবার নিজেই গঠন করেন এনডিপি। ১৯৯৬ সালে এনডিপি বিলুপ্ত করে যোগ দেন বিএনপিতে। এই দল থেকে একবার বহিষ্কৃত হলেও প্রত্যাবর্তন করেন আবার। সারা জীবন বিরোধী শিবিরের রাজনীতি করলেও নিজেকে মনে করেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠজন।  যদিও কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়াননি নিজেকে। আদালতে প্রমাণিত তথ্য মতে, চট্টগ্রামে সাকা চৌধুরীর পৈতৃক বাসভবন ‘গুডসহিল’ ছিল একাত্তরে টর্চার সেল। এখানে নির্যাতন করা হয় বহু স্বাধীনতাকামী মানুষকে। হত্যা করা হয় অনেককে। ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৪৩৭ জনকে হত্যার অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। একাত্তরে তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন ভয়ঙ্কর ও মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম। চলাফেরা করতেন প্রিন্সের মতো। ট্রাইব্যুনালে তিনি মামলা লড়েছেন নিজেও। একাধিকবার জানিয়েছেন, ফাঁসিকে ভয় পান না।

মুজাহিদ আলবদর প্রধান থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ একজন প্রাক্তন এমপি। তিনি ২০০১-২০০৭ সময়কালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি একাধারে গণহত্যা, লুটপাট ও ধর্ষণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেন। ১৯৭১ সালে বিজয় অর্জনের মাত্র দুই দিন আগে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়ে তিনি অভিযুক্ত।

১৯৭১ সালে মুজাহিদ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রেসিডেন্ট এবং রাজাকার বাহিনীর স্থপতি, আল বদর প্রধান। স্বাধীনতা যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়তে তিনি রাজাকার ও আলবদর বাহিনী গঠন করে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। মুজাহিদ ছিলেন আলবদরের সামরিক এবং অর্থনৈতিক মূল চালিকাশক্তি। রাজাকার এবং আলবদর বাহিনীর প্রধান কাজ ছিল স্বাধীনতাকামী ব্যক্তি ও মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তাদের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া। তাদের নির্যাতন করে হত্যাও করতেন।

১৯৬৪ সালে মুজাহিদ ভর্তি হন ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগ দেন তিনি। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে নেন øাতকোত্তর ডিগ্রি। স্বাধীনতার পর পলাকত ছিলেন। ১৯৮২ সালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য হন তিনি। ১৯৮৯ থেকে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালনের পর ২০০০ সালে দলের সেক্রেটারি জেনারেল হন মুজাহিদ।

ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তাদের বৈঠক : মানবতাবিরোধী অপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহালের পর পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা নির্ধারণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বৈঠক করেছেন ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা। রায় ঘোষণার পর গতকাল দুপুরে কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।

রায় দ্রুত  কার্যকরের দাবি গণজাগরণ মঞ্চের : বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। গতকাল রায় ঘোষণার পর শাহবাগের প্রজম্ন চত্বরে সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। এ সময় জামায়াতের ডাকা আজকের হরতাল প্রতিহত করারও ঘোষণা দেন তিনি।

সাকা-মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের রায় উপলক্ষে গতকাল সকালে গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা শাহবাগে অবস্থান নেন। বেলা ১১টায় সাকা-মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার রায় গণজাগরণ মঞ্চে এলে নেতা-কর্মীরা আনন্দ-উল্লাস করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর