শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে সাকার অবদান ছিল : বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ন্যায়বিচার পাননি। বিচারের ক্ষেত্রে তার অপরাধের চেয়ে রাজনৈতিক পরিচয় বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই তিনি প্রতিহিংসা ও ‘পারসিকিউশনের’ শিকার হয়েছেন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য সাকা চৌধুরীর ‘কন্ট্রিবিউশন’ ছিল।

গতকাল বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সাকা চৌধুরীর স্বপক্ষে যেসব দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেগুলো বিবেচনায়  নিলে তিনি হয়তো ন্যায়বিচার পেতেন। আজকের অবস্থার সম্মুখীন তাকে হতে হতো না। তিনি একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক। দেশ ও দলের প্রতি কমিটমেন্ট এবং গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন সাকা চৌধুরী। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার এক দিন পর দলটির পক্ষ থেকে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। আসাদুজ্জামান রিপন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অপরাধ বিবেচনায় নয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সাকা চৌধুরীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপিল বিভাগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় বহাল রাখার পর গত ২৯ জুলাই বিএনপির যে অবস্থান ছিল, এখনো বিএনপির একই অবস্থান বহাল রয়েছে। রিপন বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম সাকা চৌধুরী ন্যায়বিচার পাবেন, কিন্তু তার আইনজীবীরা বলেছেন, তিনি ন্যায়বিচার পাননি। ড. রিপন আরও বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী একজন স্বচ্ছ ও শৌখিন রাজনীতিবিদ। তিনি তার এলাকা থেকে ছয়বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাকা চৌধুরী ’৭১-এ পাকিস্তানে থেকে পড়াশোনা করার ব্যাপারে যে দালিলিক প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছেন, সেগুলো সম্পর্কে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে ড. রিপন বলেন, তিনি আমাদের দলের একজন নেতা। তিনি আদালতে যেসব দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন আমরা মনে করি সেসব সত্য।

এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ড. ওসমান ফারুক, নিতাই রায় চৌধুরী, ফজলুল হক মিলন, গোলাম আকবর খোন্দকার, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর