শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তে আটকে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশিদের

আ স ম মাসুম, গ্রিস বর্ডার থেকে

প্যারিস জঙ্গি হামলার পরই প্রথম কঠোর অবস্থানে গেল ম্যাসিডোনিয়া সরকার। গতকাল সকালে গ্রিস ম্যাসিডোনিয়া বর্ডার গ্যাবগেলিয়াতে পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির সরকার। আজকে থেকে শরণার্থী পরিচয়ে কোনো পাকিস্তানি বা বাংলাদেশি নাগরিক ঢুকতে পারবেন  না সে দেশে। তবে আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং ইরাকের নাগরিকদের জন্য বর্ডার খোলা রয়েছে এখনো। গতকাল সকালে যখন শরণার্থীরা ভিড় করছিলেন গ্যাবগেলিয়া হয়ে ম্যাসিডোনিয়া ঢোকার জন্য তখন প্রায় ৩৫০ জন পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি নাগরিককে সেখানে আটকে দেওয়া হয়। এই কড়াকড়ির সঙ্গে প্যারিস হামলার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সে ব্যাপারে গ্যাবগেলিয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর লুচ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেন, সরকারের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের ফলে শরণার্থীদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। আটকে পড়া বাংলাদেশের মাদারীপুরের ছেলে নাঈম বলেন, এখন গ্রিসে থাকা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নাই! কিন্তু গ্রিসে থাকা আর না খেয়ে মরা একই কথা! গত ৫ বছরে গ্রিসের অর্থনৈতিক মন্দায় দেউলিয়া হয়ে যায় দেশটি। এ জন্য অভিবাসীদের দায়ী করা হয়। উল্লেখ্য, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিরা শরণার্থীদের সঙ্গে ভিড়ে গিয়ে জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুযোগ নিচ্ছিলেন। তবে জার্মানিতে ফাইনাল ইন্টারভিউয়ে তাদেরকে শনাক্ত করে ফেরত পাঠানো হবে আগেই সতর্ক করেছিল জার্মানি সরকার ও তাদের দূতাবাসগুলো। আটকে পড়া পাকিস্তানি তরুণ ইসমাইল বলেন, আমাদের ম্যাসিডোনিয়াতে আটকানো হচ্ছে কার নির্দেশে! আমরা তো ম্যাসিডোনিয়াতে থাকব না! আমরা যাব জার্মানি! ফেরত দিলে জার্মানি থেকে দেওয়া হোক! প্যারিস হামলার এক নায়ক আইএস সদস্য আল মোহাম্মদ মধ্য অক্টোবরে এই রুট দিয়েই গ্রিস থেকে অস্ট্রিয়া, জার্মানি হয়ে প্যারিস পৌঁছেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ গ্রিস থেকে ম্যাসিডোনিয়া পর্যন্ত আল মোহাম্মদকে শনাক্ত করা গেছে। এরপর সে হাঙ্গেরি না ক্রোয়েশিয়া হয়ে অস্ট্রিয়া ঢুকেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর