শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে প্রণোদনা -- বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওষুধসহ অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে প্রণোদনা সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে আধা সরকারি চিঠিও (ডিও) পাঠানো হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে এক সভা শেষে এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রী বলেন, আমাদের অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে ডিও লেটার দিয়েছি। ওষুধ এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্প এই প্রণোদনা সুবিধার আওতায় রয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ১৮ ডিসেম্বর কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার     (ডব্লিউটিও) মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে গতকাল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।  বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, এবারের বৈঠকে উন্নত দেশগুলোতে পণ্যের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা আদায়ের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। পুরনো সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা প্রদানের সুপারিশ ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ দেশ এ সুবিধা দিলেও কিছু কিছু দেশ এ সুবিধা বাস্তবায়ন করেনি। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়ক হিসেবে বাংলাদেশ ওই সুবিধা আদায়ে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সঙ্গে দেন-দরবার করবে। এ ছাড়া জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রুলস অব অরিজিনের শর্ত শিথিল করার দাবি জানানো হবে। সেবা খাতে উন্নত দেশগুলো যাতে করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে বিশেষ ছাড় দেয় সেই সুবিধাও চাওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলার, বর্তমানে সেটি ৩৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক শক্তিশালী দেশে আমরা ওষুধ রপ্তানি করছি। চামড়া, তৈরি পোশাক, ফার্নিচার, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ভালো অবস্থান নিয়েছি। জিএসপি সুবিধা স্থগিত করার পরও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, অনেকে ভেবেছিল, স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো থাকবে না। কিন্তু যে দেশের সঙ্গে আমরা ছিলাম, সে পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের অবস্থা অনেক ভালো। আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু বেশি, মা ও শিশু মৃত্যুর হারও কম। মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের রপ্তানি ৩২ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ২৪ বিলিয়ন ডলার। আমাদের রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের মাত্র ১৫ বিলিয়ন ডলার। এভাবে সব দিক থেকে আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে।

সর্বশেষ খবর