শিরোনাম
শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সাকা-মুজাহিদের সারা বেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুষড়ে পড়েছেন সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। গতকাল দিনের অধিকাংশ সময় কেটেছে তার কনডেম সেলের ভিতর পায়চারি করে। মুজাহিদও ছিলেন বিষণ্ন। কনডেম সেলে বন্দী এ দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী নিঃসঙ্গ সময় কাটান।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে গিয়ে সেখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন তার স্ত্রী ব্যারিস্টার ফারহাত কাদের চৌধুরী। পরিবারের সদস্যরা সেদিন চলে যাওয়ার পর থেকে কনডেম সেলে বিষণ্ন হয়ে পড়েন একসময়ের বাকপটু ও তির্যক মন্তব্যের জন্য বহুল সমালোচিত বিএনপির এই নেতা। তার খাদ্য গ্রহণের মাত্রাও কমে গেছে অনেকখানি। তবে নিয়মিত নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে অধিকাংশ সময় পার করছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। সালাউদ্দিন কাদেরের তুলনায় তিনি অনেকখানি দৃঢ় আছেন বলে কারাগারের একটি সূত্রে জানা যায়।

সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে সাধারণ বন্দীর মতোই সাদা ভাত, সবজি, মাছ ও ডাল সরবরাহ করা হয় নির্ধারিত সময়ে। মুজাহিদ খাবার গ্রহণ করেছেন কিনা তা জানা না গেলেও সাকা চৌধুরী অধিকাংশ খাবারই ফেরত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতে তাদের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর উভয়ের পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তাদের সঙ্গে দেখা করেন। জানা যায়, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর আরও বেশি বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন সাকা চৌধুরী। কারা অভ্যন্তরের একটি সূত্র জানায়, সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী সাকা চৌধুরীর কাছে যাওয়ার পর সেখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলে উভয়ে কিছুক্ষণ একাকী কথা বলেন। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন সাকা চৌধুরী। যতক্ষণ পরিবারের সদস্যরা ছিলেন ততক্ষণ বেশ দৃঢ়ই ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর থেকেই একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যান তিনি। বৃহস্পতিবার রাতেও তেমন একটা খাবার খাননি। সাকা চৌধুরীর একটি পারিবারিক সূত্র জানায়, পরিবারে বিশেষ করে স্ত্রীর সঙ্গে তার (সাকা চৌধুরী) খুবই ভালো সম্পর্ক। তাদের দুজনের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়ার সম্পর্ক সব সময়ই। তিনি দেশের বাইরে থাকলে প্রতিদিন একাধিকবার দীর্ঘ সময় ধরে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর