শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ঢাকা মাতালেন হৃত্বিক-জ্যাকুলিন

জমকালো উদ্বোধন বিপিএলের

মেজবাহ্-উল-হক

জমকালো উদ্বোধন বিপিএলের

মঞ্চে দ্যুতি ছড়ালেন ‘চিকিয়াতালাইয়া সুন্দরী’ জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ - রোহেত রাজীব

অন্ধকারে ঢাকা মিরপুরের রাতের আকাশ। দর্শকে ঠাসা শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। ফ্লাডলাইটগুলোও নেভানো। এই সুযোগে যেন হাজারো জোনাকি ঢুকে পড়ে স্টেডিয়ামে! ঝিকমিকি আলোয় আলোকিত করে তোলে শেরেবাংলার গ্যালারি! আসলে রাতের আঁধারে জোনাকির মতো মনে হলেও সেগুলো কিন্তু জোনাকি ছিল না। বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশন যখন ‘ধুম্মা চলে, ধুম্মা চলে’ গানের সঙ্গে নেচে স্টেজ মাতিয়ে দিচ্ছিলেন তখন গ্যালারির দর্শকরা মোবাইলে আলো জ্বালিয়ে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন প্রিয় তারকাকে। শুধু হৃত্বিক একা নন, লঙ্কান অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নাচেও মুগ্ধ দর্শক। আর সুরের মূর্ছনায়  মাতিয়ে রেখেছিলেন ভারতের সংগীত   শিল্পী কে কে। গতকাল ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হলো সেলিব্রেটি টি-২০ টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তৃতীয় আসরের। ক্রিকেট এখন শুধু আর খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, হয়ে গেছে উৎসবের অংশ। তাই দর্শকের আগ্রহের কথা চিন্তা করেই বিপিএলের আয়োজকরা ‘গ্র্যান্ড কনসার্টে’র মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। শুরু হয় সন্ধ্যায় সাদিয়া ইসলাম মৌ-এর নৃত্য দিয়ে। শেষ হয় হৃত্বিক রোশনের নাচে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হৃত্বিক ও জ্যাকুলিন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও সুরের মূর্ছনায় এক ঘণ্টারও বেশি দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলেন কে কে। শুধু হিন্দি নয়, ভারতীয় সংগীতশিল্পী তামিল, কান্নাডা ও মালায়লাম ভাষার গানেও ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে গতকাল মিরপুরে কে কে তার হিন্দি গান দিয়েই দর্শককে বশ করে রেখেছিলেন। মোট ১২টি গান পরিবেশন করেন তিনি। তার সুরের ঝংকারে দর্শকরা কখনো বিরহে কাতর হচ্ছিলেন, আবার কখনো উচ্ছ্বাসে নাচানাচি করেছেন। ‘তু লুট গ্যায়ে হাম তেরি মহব্বত’ গানটি যখন পরিবেশন করছিলেন তখন পুরো স্টেডিয়ামে বিরাজ করছিল পিনপতন নীরবতা। পরপারে চলে যাওয়া এক বন্ধুকে উৎসর্গ করে গানটা গাচ্ছিলেন বলে কে কে নিজেও মুহূর্তের জন্য যেন আবেগাল্পুত হয়ে পড়ছিলেন। পানি খাওয়ার ভান করে বার বার চোখ মুছছিলেন। এ ছাড়া ‘মুঝছে পেয়ার হো ইয়ার’ ‘খুদা জানে’ ‘তুহি মেরি সব হ্যায়’ ‘হাম রেহানা রেহে’ ‘জারা সা আপনে লে জায়া’ ‘তুজ হো মেলা’ ‘মে হু ডন’ ‘পেয়ারও, আপনি হে সব সে’ ‘আলবিদা, আলবিদা’ গানগুলো গেয়ে দর্শক মাতিয়ে রাখেন। হৃত্বিক এবারই প্রথম বাংলাদেশে আসেন এবং রাতে চলে যান। বাংলাদেশে এসে রীতিমতো অভিভ‚ত, ‘কেমন আছেন, ভালো আছেন তো!’ তারপর বলেন, ‘বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি গর্বিত। আমি ক্রিকেটকে ভালোবাসি। এখানকার মানুষ খুব ভালো। ভালোবাসি সবাইকে। কেননা একমাত্র ভালোবাসাই পারে গোটা পৃথিবীকে বদলে দিতে।’ কালকের অনুষ্ঠানে চমক ছিল লেজার শো-তে। লেজার দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোট্রেট ছবি আঁকা হয়। তারপর বিপিএলের ছয় দলের লোগো ও দলের আইকন ক্রিকেটারদের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছিল। বাদ যায়নি জাতীয় পতাকা, জাতীয় পাখি, মাছ ও জাতীয় পশুর ছবি। লেজারে সব শেষে দেখানো হয় বিসিবির লোগো। শেষে আতশবাজির মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর