রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ঘটনা প্রবাহ

ভোর ৬টা : কারাফটক ও সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ যান চলাচল বন্ধ ও বাড়তি নিরাপত্তা।

সকাল ১০টা ১০ মিনিট : ঢাকা জেলা প্রশাসনের দুই ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম ও তানভীর আহমেদের কারাগারে প্রবেশ।

বেলা ১১টা : ফরিদপুরে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা সংবাদ সম্মেলন করে জানান জেলার পুলিশ সুপার মো. জামিল হাসান।

বেলা ১২টা : সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না ই জাহান, ছেলে আলী আহাম্মদ মাবরুরসহ পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন।

বেলা ১২টা ৩৫ :  গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী এবং বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সংবাদ সম্মেলন।

বেলা ১টা ৪০ মিনিট : সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আবেদন নিয়ে কারাফটকে যান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান আল ফেসানী। বেলা ২টা ৩৫ মিনিট : কারাগার থেকে রেজিস্টার খাতা ও প্রাণভিক্ষার দুটি লিখিত আবেদন নিয়ে বের হন দুই ডেপুটি জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান ও মো. আরিফুল ইসলাম। বেলা ২ টা ৪৫ মিনিট : ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন’-জানান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির। বেলা ২টা ৫৩ মিনিট : গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে প্রাণভিক্ষার আবেদনের খবর অস্বীকার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানের। বেলা ২টা ৫৭ মিনিট : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিবের কক্ষে প্রবেশ করেন দুই ডেপুটি জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান ও মো. আরিফুল ইসলাম। বেলা ৩টা ২৫ মিনিট : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফিরে আবার কারাগারে প্রবেশ করেন দুই ডেপুটি জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান ও মো. আরিফুল ইসলাম।

বেলা ৩টা ৪০ মিনিট : ‘সাকা ও মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন হাতে পেয়েছি’-জানান স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হক। বেলা ৩ টা ৪৫ মিনিট : ‘প্রাণভিক্ষার লিখিত দুই আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে’-জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বেলা ৩টা ৫০ মিনিট :  ধানমন্ডির বাসা থেকে  বঙ্গভবনের উদ্দেশে তিনটি গাড়িতে রওনা দেন সাকার স্ত্রী, দুই ছেলে ও ছেলেদের স্ত্রীরা। বিকাল  ৪টা : কারাফটক ও সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও কারারক্ষী মোতায়েন করে তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার।

বিকাল ৪টা ১৫ মিনিট : ‘রাষ্ট্রপতি নিশ্চয়ই প্রাণভিক্ষার দুই আবেদন ফিরিয়ে দিয়ে দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশ দিয়ে শহীদদের আত্মাকে শান্তি দেবেন’-বলেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট : মা ফারহাত কাদেরকে বঙ্গভবনের সামনে গাড়িতে রেখে ‘পিটিশন টু দ্য অনারেবল প্রেসিডেন্ট ফ্রম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী’ শিরোনামের চিঠি নিয়ে বঙ্গবভন চত্বরে প্রবেশ করেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী।

বিকাল ৪টা ৩৪ মিনিট : প্রাণভিক্ষার আবেদন দুটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে যায়।

বিকাল ৪ টা ৫০ মিনিট : মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করার আবেদনপত্র নিয়ে তার আইনজীবী এস এম কাজী তামিমের কারাফটকে উপস্থিতি। পাননি অনুমতি।

বিকাল ৫ টা ১৫ মিনিট : ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি জানতে কারাফটকে যান সাকা চৌধুরীর পরিবারের ছয় সদস্য। বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট : নিরাপত্তার প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকায় ২০ প্লাটুন ও চট্টগ্রামে ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন। সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট : প্রাণভিক্ষার আবেদনের প্রস্তুত হওয়া ফাইল মন্ত্রীর স্বাক্ষরের জন্য সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় থেকে গুলশানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের গুলশানের বাসায় প্রেরণ।

সন্ধ্যা ৭টা ০৫ মিনিট : প্রাণভিক্ষার ফাইলে আইনমন্ত্রীর স্বাক্ষর শেষে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসার উদ্দেশে রওনা দেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট : সংবাদ সম্মেলন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, সাংবিধানের ৪৯ ধারায় প্রাণভিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে আবেদন করেছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। রাত ৮টা ০৫ মিনিট : কারাগারে প্রবেশ করেন অতিরিক্ত আইজি প্রিজন কর্নেল মো. ফজলুল কবির। রাত ৮টা ১০ মিনিট : বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হক খান ও আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।

রাত ৯টা ০৫ মিনিট : সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের ৩৮ সদস্য দেখা করতে কারাগারের বিশ্রামাগারে প্রবেশ করেন। রাত ৯টা ২৫ মিনিট : আলী আহসান মুজাহিদের পরিবারের  সদস্যরা শেষ দেখা করতে কারাফটকে উপস্থিত হন। রাত ৯টা ২৬ মিনিট : বঙ্গভবন থেকে খারিজ হওয়া প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে বের হয়ে সচিবালয়ে চলে যান স্বরাষ্ট্র ও আইন সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা। রাত ৯টা ৪০ মিনিট : আনুষ্ঠানিকতা ও পাস গ্রহণ শেষে ফাঁসির অপেক্ষায় থাকা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নিয়ে কারাফটক দিয়ে প্রবেশ করেন পরিবারের ১৮ জন সদস্য। রাত ১০ টা ০৫ : ফাঁসির আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত থাকতে দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবেশ করেন কারাগারে। রাত ১০টা ১৫ : কারাগারে প্রবেশ করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। রাত ১০টা ২০ : কারাগারের সামনে দাঁড়িয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, রাতেই ফাঁসি কার্যকর হবে। রাত ১০টা ২৫ মিনিট : কারাগারে প্রবেশ করেন জেলা প্রশাসক মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

রাত ১০ টা ৪৭ মিনিট : শেষ দেখা করে বেরিয়ে আসেন সাকার স্বজনরা।

রাত ১০টা ৪৮ মিনিট : সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসি পর্যায়ক্রমে কার্যকর করে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রাত ১১টা : মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা দেখা করার অনুমতি নিয়ে কারাফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। রাত ১১টা ০৮ মিনিট : কারাগারে প্রবেশ করেন লালবাগ তারা মসজিদের ইমাম মাওলানা মনির হোসেন। রাত ১১ টা ১৫ মিনিট : সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল মালেক মৃধা ও কারা চিকিৎসক আহসান হাবিব প্রবেশ করেন কারাগারে।

রাত ১১টা ২৫ মিনিট : কারাগারে প্রবেশ করে ফাঁসির মঞ্চের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসজ্জিত বিশেষ কারারক্ষী দল। রাত ১২টা ০১ মিনিট : সাকার ফাঁসি কার্যকর হলো কি না তা নিয়ে কারাগারের সামনে সবার উৎকণ্ঠা। রাত ১২ টা ২০ মিনিট : শেষ দেখা শেষে কারাফটক থেকে বেরিয়ে আসেন মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা। রাত ১২টা ৩৬ মিনিট : কারাফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে মরদেহবাহী চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স, কফিন ও চা-পাতা। রাত ১২টা ৪০ মিনিট : লাশবাহী গাড়ি বাইরে বের হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কারাফটকে নিয়ে আসা হয় র‌্যাব ও পুলিশের ছয়টি গাড়ি।

রাত ১২টা ৫৫ মিনিট : দড়িতে ঝুলিয়ে একই সঙ্গে কার্যকর করা হয় যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর