রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

এবারও সেই জল্লাদ শাহজাহান ও রাজু

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেছেন সেই আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূইয়া ও রাজু। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরও চার জল্লাদ। এর আগে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের গলায় ফাঁসির রশি পরান জল্লাদ শাহজাহান ও রাজু।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলান জল্লাদ শাহজাহান ও রাজু। তাদের সঙ্গে ছিলেন আবুল, মাসুদ, ইকবাল ও মুক্তার। এই ছয় জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর থেকে শুরু করে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া, মরদেহ উঠানোসহ সব কাজ করেন। এর আগে সন্ধ্যার পর রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে আলো জ্বালানো ও শামিয়ানা টাঙানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকা কারাগারের দক্ষিণ প্রান্তে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করেন এই জল্লাদরা। বিভিন্ন মামলায় সাজা খাটতে থাকা এ জল্লাদরাই ফাঁসি কার্যকরের আগে ও পরে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন। তারাই লাশ মঞ্চ থেকে নামিয়ে কফিনে রাখেন। এরপর কারারক্ষীদের সাহায্যে লাশ তোলা হয় অ্যাম্বুলেন্সে। জানা গেছে, সুঠাম দেহ ও অধিক মনোবলের কারণে জল্লাদদের তালিকা থেকে শাহজাহান ও রাজুকে ডাকেন কারা কর্তৃপক্ষ। অন্যদের চেয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়ায় এবারও তাদের ডাক পড়ে।

এর আগে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে জল্লাদের ভূমিকা পালন করেন শাহজাহান। এ ছাড়া জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামির গলায় ফাঁসির রশি পরান এই জল্লাদ শাহজাহান। জল্লাদ শাহজাহান ১৪৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত একজন কয়েদি। তিনি ৩৬ বছর ধরে কারাবাস করছেন। কারাগার থেকে দ্রুত মুক্তিলাভের জন্যই তিনি জল্লাদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন বলে সূত্রটি জানায়। এরই মধ্যে এরশাদ শিকদার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ৫ আসামি ও কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ?কার্যকরে ভূমিকা রেখে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন শাহজাহান। এদিকে, ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় জল্লাদের ভূমিকায় ছিলেন রাজু। জল্লাদ রাজু প্রায় ১৫ বছর ধরে কারাবাস করছেন।

সর্বশেষ খবর