শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার

আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমর্থন জানাতে পারে ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি

মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রকাশ্য সমর্থন জানাতে পারে নয়াদিল্লি। যদিও পাকিস্তান ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ এ ফাঁসির বিষয়ে বাংলাদেশের সমালোচনা করেছে।

ভারতের  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আদালত বিচারের পর এই দণ্ডাদেশ দেন। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্টও তাদের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। এ ছাড়া দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন রয়েছে সরকারের এই পদক্ষেপে। ভারতও মনে করে, এই দুজন একাত্তরে গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এবং বাংলাদেশ সরকার তাদের ফাঁসি দিয়ে প্রকৃত বিচারই করেছে। পাকিস্তান যদি কোনো আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করে, সে ক্ষেত্রে হাসিনা সরকারের পাশেই দাঁড়াবে নয়াদিল্লি।

ভারত সরকারের মতে, যুদ্ধাপরাধী এই দুই নেতার ফাঁসির পরই বাংলাদেশে উত্তেজনা তৈরি করতে সচেষ্ট জামায়াতে ইসলামীর মতো মৌলবাদী শক্তিগুলো। কারণ ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো জঙ্গি সংগঠনেরও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যদিও বাংলাদেশের মাটিতে মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসী সংগঠনটি পা রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধে ২২ নভেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলায় বাংলাদেশ। কিন্তু ওই ঘটনার পরই পাকিস্তানের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পাকিস্তানের এই সমালোচনাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তান সরকারের পাশাপাশি সে দেশের তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানও ফাঁসি কার্যকর নিয়ে বাংলাদেশের বিষোদ্গার করেছেন। সূত্রে খবর, বাংলাদেশে যেভাবে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে চলেছে এবং যুবসমাজের একটি অংশ যেভাবে জিহাদি মতাদর্শে প্রভাবিত হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শেষ কয়েক মাসে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকায় কূটনৈতিক পাড়ায় ইতালির নাগরিক এবং রংপুরে এক জাপানের নাগরিকের খুনের ঘটনায় দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশিদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

সর্বশেষ খবর