শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

লাশ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ

রহস্যঘেরা জাপানি নারী হত্যা

আদালত প্রতিবেদক

ময়নাতদন্তের জন্য জাপানি নারী হিরোই মিয়াতোর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, জাপানের নাগরিক হিরোই মিয়াতোর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ প্রদান করা হলো। ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট দাফনকৃত জাপানি নারী হিরোই মিয়াতোর লাশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ভিকটিম হিরোই মিয়াতোর লাশের ময়নাতদন্ত করে প্রতিবেদন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধ্যক্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা  উত্তরা থানা পুলিশের পরিদর্শক কাজী সাহান হক ওই নারীর লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। এ মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম øিগ্ধা রানী চক্রবর্তী। আসামিরা হলেন মো. মারুফুল ইসলাম, রাশেদুল হক বাপ্পি, ফখরুল ইসলাম, জাকির পাটোয়ারী ও ডা. বিমল চন্দ্র শীল। এর আগে ১৯ নভেম্বর জাপানের নাগরিক হিরোই মিয়াতোর নিখোঁজের ঘটনায় জাপান দূতাবাসের ভাইস কনস্যুলেটর কসুকি মাতসুনাগা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ২২ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান একটি মামলা করেন। মামলার আগে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, কয়েকজন আসামি মিলে জাপানি ওই নারীকে অপহরণ করে হত্যা করেছে। পরে আসামিরা নাম-পরিচয় গোপন করে তাকে দাফন করেছে। মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, হিরোই মিয়াতোর পাসপোর্ট নম্বর-ঞত-০৪৪৫৭৭৮, জন্ম তারিখ- ১৬ নভেম্বর, ১৯৫৫। জাপান থেকে ৪ নভেম্বর মিয়াতোর মা মাকিকো হিরাবায়াশি জাপান দূতাবাসে জানান, তার সঙ্গে মেয়ে মিয়াতো প্রতিদিন অন্তত একবার কথা বলতেন। কিন্তু ২৬ অক্টোবরের পর থেকে তার মেয়ের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। এ কারণে মেয়ের নিরাপত্তায় করণীয় বিষয়ে অনুরোধ জানান ওই জাপানি মা। এরপর জাপান দূতাবাসের ভাইস কনস্যুলেটর একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সর্বশেষ খবর