আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে শর্তসাপেক্ষে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। নির্বাচন ১৫ দিন  পেছানোসহ বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দলটি। এ ছাড়া  গ্রেফতার হওয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির দাবিও জানানো হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব শর্ত দেন বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা ড. আসাদুজ্জামান রিপন। সেখানে নির্বাচন কমিশনের বিবেচনার জন্য দলের পক্ষ থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ??ও তুলে ধরা হয়। পুনঃতফসিল  ঘোষণার দাবি জানিয়ে ড. রিপন বলেন, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি থেকে নতুন ৫০ লাখ তরুণ ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন। তার তিন দিন আগে অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় নতুন  ভোটাররা  ভোট দিতে পারবেন না। এ ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে মনোনয়ন  দেওয়া পর্যন্ত ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়কে অপ্রতুল মনে করে বিএনপি। যৌক্তিক কারণে এ সময় বাড়ানো প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো ভুঁইফোড় সংগঠনকে কার্ড না দেওয়ার দাবি জানানো হয়। আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে এক জায়গা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এতে করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরকারদলীয় ক্যাডাররা হুমকি দিচ্ছে। অনেক জায়গায় পাহারা বসানো হয়েছে। তাই একাধিক জায়গা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার বিধান রাখা জরুরি। জনমত গঠন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম খুলে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন আছে দাবি করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, কমিশনের জনবল থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। পৌর এলাকায় সরকারদলীয় এমপি ও নেতাদের অনুরোধে ইউএনও ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব এলাকায় ওসি ও ইউএনওদের রদবদল করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ হালিম, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, সৈয়দ  মোয়াজ্জেম  হোসেন আলাল, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, শাম্মী আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।