বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ছয় বিভাগে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

আসন্ন পৌর নির্বাচনে একক প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি। গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার‌্যালয় থেকে পৌর মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ফরম বিতরণ শুরু হয়। বিএনপির যুগ্ম- মহাসচিব ও পৌর নির্বাচনে সমন্বয় কমিটির প্রধান মো. শাহজাহান দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে এ মনোনয়নপত্র বিতরণ করেন। ঢাকা বিভাগ ছাড়া সাংগঠনিক ছয় বিভাগের প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। আজ সকালে ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। তবে মনোনয়নপত্র বিতরণে গোপনীয়তা রক্ষা করেছে বিএনপি। গতকাল রাতে রাজশাহী বিভাগের ৪৯টি পৌরসভার মধ্যে ৩৩টিতে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়। খুলনার ৩০টির মধ্যে ২৭টি, চট্টগ্রামের ৩৭টির সবকটি, রংপুরের ২০টির মধ্যে ১৫টি, সিলেটের ১৬টির মধ্যে ১২টি এবং বরিশাল বিভাগের ১৭টির মধ্যে ১২টির মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও ২০ দলকে তেমন ছাড় দিচ্ছে না বিএনপি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও জাতীয় পার্টিকে (কাজী জাফর) একটি করে পৌরসভায় সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে জোটের অন্যতম প্রধান শরিক জামায়াতের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জামায়াত তাদের তালিকা খালেদা জিয়ার কাছে দিয়েছে। এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গুলশান কার‌্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের সমর্থকদের উল্লাস করতে দেখা যায়। তবে মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশান কার‌্যালয়ে ছিলেন না। দুই দিন ধরে অফিস করছেন না তিনি। মনোনয়নপত্র বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মো. শাহজাহান নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মী ও প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়ে যেন হয়রানির মুখে না পড়েন। নেতা-কর্মী যারা আটক রয়েছেন, তাদের জামিনের ব্যবস্থা করবেন। গণগ্রেফতার বন্ধ করবেন। জোটের শরিকদের জন্য কতটি আসন দিচ্ছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এখানে সংখ্যা আমরা বলতে চাই না। এ নির্বাচনে বিএনপি তার শরিকদের নিয়ে অংশ নেবে। শরিকরা কেউ চাইলে তাদের বিমুখ করব না। প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ জামায়াতে ইসলামী ধানের শীষে নির্বাচন করবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. শাহজাহান বলেন, ‘এটা ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব রাজনীতি আছে। তার কী কৌশল হবে, কী প্রক্রিয়ায় তারা নির্বাচনে অংশ নেবে, সেটা তাদেরই ভাবতে দেওয়া উচিত।

মনোনয়ন পেলেন যারা- পঞ্চগড় : সদরে তৌহিদুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও : সদরে মির্জা ফয়সাল আমিন, পীরগঞ্জে রাজিউর রহমান রাজু, রানীশংকৈলে শাহজাহান আলী, দিনাজপুর : সদরে জাহাঙ্গীর আলম, ফুলবাড়ীতে সাইদুল ইসলাম, বীরগঞ্জে আমিনুল বাহার, বিরামপুরে আশরাফ আলী মণ্ডল, হাকিমপুরে শওকত হোসেন শিল্পী, নীলফামারী : সৈয়দপুরে আমজাদ হোসেন সরকার, জলঢাকায় ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, লালমনিরহাট : সদরে আব্দুল হালিম, পাটগ্রামে এ কে মোস্তফা হালিমুজ্জামান, রংপুর : বদরগঞ্জে পরিতোষ চক্রবর্তী, কুড়িগ্রাম : সদর-নুরুল ইসলাম, নাগেশ্বরী-আদম আলী, উলিপুর-তারিক আবুল আলা চৌধুরী, গাইবান্ধা : সদরে শহীদুজ্জামান শহীদ, গোবিন্দগঞ্জ-ফারুক আহমেদ, সুন্দরগঞ্জ-মশিউর রহমান সবুজ, বগুড়া : সদরে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, শেরপুর-স্বাধীন কুণ্ড, সারিয়াকান্দি-টিপু সুলতান, গাবতলী-সাইফুল ইসলাম, আদমদিঘী-তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, কাহালু-আবদুল মান্নান ভাটা, ধুনট-আলিমুদ্দিন, নন্দীগ্রাম-সুশান্ত কুমার শান্ত, শিবগঞ্জ-আবদুল মতিন, জয়পুরহাট : সদর-সামসুল হক, কালাই-সোহেল তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : শিবগঞ্জ- শফিকুল ইসলাম, নাচোল-মো. কামরুজ্জামান, নওগাঁ : সদর-নাজমুল হক সনি, নজিপুর-আনোয়ার হোসেন, রাজশাহী : কাকনহাট-হাফিজুর রহমান, আড়ানি- তোজাম্মেল হক, মুণ্ডমালা-ফিরোজ কবির, কেশরহাট-আলাউদ্দিন আলো, গোদাগাড়ী-আনোয়ারুল চৌধুরী, তাহেরপুর-আবু নাঈম মোহাম্মদ শাসমুর রহমান মিন্টু,  ভবানীগঞ্জ-আবদুর রহমান প্রামাণিক, তানোর-মিজানুর রহমান মিজান, কাটাখালী-মাসুদ রানা, চারঘাট-জাকিরুল ইসলাম বিকুল, দুর্গাপুর-সাইদুর রহমান মন্টু, পুটিয়া-বাবুল হোসেন লাল্টু, নৌহাটা-মকবুল হোসেন, নাটোর : সদর-ইমদাদুল হক মামুন, গুরুদাসপুর-মশিউর রহমান বাবলু, সিংড়া-শামীম আল রাজী, বড়াইগ্রাম-ইসহাক আলী, সিরাজগঞ্জ : শাহজাদপুর-নজরুল ইসলাম, সদর-মোকাদ্দেস আলী, উল্লাপাড়া-বেলাল হোসেন, রায়গঞ্জ-নুর সাঈদ সরকার, বেলকুচি-আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল, কাজীপুর-মাসুদ রায়হান মুকুল, পাবনা : চাটমোহর-আবদুর রহিম কালু, সাঁথিয়া-সিরাজুল ইসলাম, সুজানগর-আজমল আলী বিশ্বাস, ফরিদপুর-এনামুল হক, ভাঙ্গুড়া মুজিবুর রহমান, সদর-নুর মোহাম্মদ মাসুম, ঈশ্বরদী-মোকলেসুর রহমান, মেহেরপুর : গাংনী-ইনসারুল হক, মিরপুর-আবদুল আজিজ খান, কুষ্টিয়া : সদর-কুতুব উদ্দিন আহমেদ, কুমারখালী-তরিকুল ইসলাম, খোকসা-রাজু আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা : দর্শনা-মহিদুল ইসলাম, জীবননগর-নওয়াব আলী, আলমডাঙ্গা-মীর মহিউদ্দিন, সদর- খন্দকার আবদুল জব্বার, ঝিনাইদহ : কোটচাঁদপুর-এ কে এম সালেহউদ্দিন বুলবুল, মহেশপুর-নাজিবুদ্দৌলা, হরিণাকুণ্ড-মো. জিন্নাতুল হক, শৈলকুপা-খলীলুর রহমান, যশোর : নোয়াপাড়া-রবিউল হোসেন, মনিরামপুর-শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, বাঘারপাড়া-আবদুল হাই মোনা, চৌগাছা-সেলিম রেজা আউলিয়া, কেশবপুর-সামাদ বিশ্বাস, সদর-মারুফুল ইসলাম, মাগুরা : সদর-ইকবাল আকতার খান, নড়াইল : কালিয়া-এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, সদর-জুলফিকার আলী, খুলনা : চালনা-শেখ আবদুল মান্নান, সাতক্ষীরা : কলারোয়া-আকতারুল ইসলাম, সদর-তাসকির আহমেদ, বরগুনা : বেতাগী-হুমায়ুন কবির, পাথরঘাটা-মলি­ক মো. আইয়ুব, পটুয়াখালী : কুয়াকাটা-আবদুল আজিজ মুসল­ী, ভোলা : বোরহানউদ্দিন-মনিরুজ্জামান, দৌলতখান-আনোয়ার হোসেন, সদর-হারুনুর রশীদ, বরিশাল : মেহেন্দিগঞ্জ-গিয়াসউদ্দিন দীপেন, বাকেরগঞ্জ- মতিউর রহমান মোল্লা, উজিরপুর-শহীদুল ইসলাম, ঝালকাঠি : নলছিটি-মুজিবুর রহমান, পিরোজপুর : স্বরূপকাঠি-শফিকুল ইসলাম ফরিদ, সুনামগঞ্জ : ছাতক- সামসুর রহমান মাসুক, সদর-অধ্যক্ষ সেরিগুন, দিরাই- মাইনুদ্দিন চৌধুরী, হবিগঞ্জ : নবীগঞ্জ-সাবেরুল হক, কুমিল্লা : দাউদকান্দি টি এম আই খলিল, চৌদ্দগ্রাম-নয়ন বাঙ্গালী, চাঁদপুর : হাজীগঞ্জ-আবদুল মান্নান খান, চট্টগ্রাম : বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মনোনয়ন পাওয়া নেতারা হলেন- স্বদ্বীপে আজমত আলী বাহাদুর, বাঁশখালীতে কামরুল ইসলাম হোসাইনী, সাতকানিয়ায় রফিকুল আলম, মিরসরাইয়ে রফিকুল ইসলাম পারভেজ, রাউজানে আবদুল্লাহ আল হাসান, বারইয়ারহাটে মাইনুদ্দিন লিটন, রাঙ্গুনিয়ায় হেলাল উদ্দিন, সীতাকুণ্ডে আবুল মনসুর, পটিয়ায় তহিদুল আলম। এ ছাড়া চন্দনাইশ এলডিপি প্রার্থীর জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি সদরে আবদুল মালেক ও মাটিরাঙ্গায় বাদশা মিয়া, বান্দরবান : সদরে জাবেদ রাজা ও লামায় আমির হোসেন, রাঙামাটি : সদরে সাইফুল ইসলাম ভুট্টো, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা মহিউদ্দিনকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর