বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

এক মাস পর মুক্ত ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক মাস পর মুক্ত ফখরুল

 

প্রায় এক মাস পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত রাত ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। এ সময় কারাগার ফটকে তাকে দলীয় নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। জেল থেকে বেরিয়ে উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের দোয়ায় আমি কারামুক্ত  হয়েছি। শারীরিকভাবে আমি অসুস্থ। দলীয় নেতা-কর্মীসহ সবার কাছে শারীরিক সুস্থতা লাভের জন্য দোয়া চাই। এ সময় মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, যুবদলের সহ-সভাপতি ফরহাদ হোসেন আজাদসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাতে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। নাশকতার তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে হাইকোর্টের দেওয়া তিন মাসের জামিনের আদেশ সোমবার বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এতে তার মুক্তিতে আইনি সব বাধা দূর হয়। তার বিরুদ্ধে ৭৯টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে। জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ দেন। এর ফলে ফখরুলের কারামুক্তিতে সব বাধা দূর হয়ে যায় বলে জানান তার আইনজীবীরা। ২৪ নভেম্বর রাজধানীর পল্টন থানার তিন মামলায় মির্জা ফখরুলের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে রুলের নিষ্পত্তি করে তিন মাসের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ২৬ নভেম্বর চেম্বার আদালত বিষয়টির শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ?পাঠান। এর আগে এ তিন মামলায় রুল নিষ্পত্তির জন্য ২ নভেম্বর দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন আপিল বিভাগ। ৩ নভেম্বর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ফখরুল। পরে আদালত জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হরতাল-অবরোধ চলাকালে নাশকতার অভিযোগে এসব মামলা করে পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আÍসমর্পণের পর জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান হাকিম আদালত। নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে জানুয়ারিতে গ্রেফতার হওয়ার পর সাত মামলায় ছয় মাস কারাগারে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। স্বাস্থ্যগত কারণে আপিল বিভাগ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিলে গত জুলাইয়ে মুক্তি পান তিনি। এরপর চিকিৎসা করাতে প্রথমে সিঙ্গাপুর এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। বিদেশ থেকে ফেরার পর ফখরুলের আবেদনে তার জামিনের মেয়াদ দুই দফায় বাড়ানো হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর