মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশীর আপিল হাইকোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশীর আপিল হাইকোর্টে

পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে তাদের মেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের করা আপিল  শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ঐশীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী, সঙ্গে ছিলেন মাহবুব হাসান রানা। সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে বলেছি, ঐশীর বয়স নির্ধারণ ও ডিএনএ পরীক্ষা সঠিকভাবে হয়নি। আপিল গ্রহণ করে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ঐশীর বিরুদ্ধে দেওয়া ৪০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পেপারবুক তৈরি হওয়ার পর আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি একসঙ্গে হতে পারে বলে তিনি জানান। এর আগে ৬ ডিসেম্বর খালাস চেয়ে ঐশী হাইকোর্টে আপিল করেন। বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের নথিসহ ডেথ রেফারেন্স ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে এসে পৌঁছে। পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলায় ১২ নভেম্বর নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ। ঐশীকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে মামলার অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি খালাস পেয়েছেন। দুটি খুনের জন্য পৃথক দুটি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। দুটি অপরাধের জন্য আলাদা করে ঐশীকে দুবার ফাঁসি ও দুবারে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।

সর্বশেষ খবর