বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্জনের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্জনের সিদ্ধান্ত

 

আসন্ন পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না আশঙ্কা করে ‘বর্জনের বিষয়টি পরিবর্তিত পরিস্থিতি’ বিবেচনায় রাখতে চায় বিএনপি। গতকাল সকালে দলের এক যৌথসভা শেষে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা জানি এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, অবাধ হবে না। প্রশ্ন উঠবে তাহলে নির্বাচনে যাচ্ছেন  কেন? এ জন্য যাচ্ছি, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা একটা উদার গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে পরিবর্তন আনতে চাই।’ নির্বাচন বর্জন করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এগুলো হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল। কে কখন বর্জন করবে, অর্জন করবে, দ্যাট উইল ডিপেন্ড অন দ্য সারকামোসটেন্স।’ গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের যৌথসভার পর সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভা হয়। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ, আসাদুজ্জামান রিপন, মজিবর রহমান সরোয়ার, মসিউর রহমান, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একাত্তর সালে গণতন্ত্রের জন্য আমরা  যে সংগ্রাম করেছিলাম, আজ দেশের মানুষ সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য, কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার জন্য, আমার ভোট আমি দেব- এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দেশের মানুষ সংগ্রামী মানুষ। গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার এই সংগ্রামে জনগণ অবশ্যই বিজয়ী হবে।’ পৌর নির্বাচন নিয়ে নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘আমরা জোরের সঙ্গেই বলছি, পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তারপরও আমরা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইত্যাদি সব নির্বাচন কী হয়েছে, এটা আমার  চেয়ে সাংবাদিকরা কম জানেন না।’ এ সময় তিনি কারাবন্দী নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ  হোসেন, এম কে আনোয়ার, শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আবদুস সালাম পিন্টু, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও নির্বাচিত বিভিন্ন মেয়রসহ সব  নেতা-কর্মীর অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।

সর্বশেষ খবর