মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ দূতাবাসের ৪০ বছর পূর্তি যেভাবে থাইল্যান্ডে উদযাপিত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মৈত্রীর প্রতীক হিসেবে থাই রাজার ৮৮তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা সভার মধ্য দিয়ে ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে গতকাল থাইল্যান্ড দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের জাতীয় বুদ্ধিজম কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজন করে একটি সেমিনার। পাশাপাশি আসিয়ান বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা রাজা ভূমিবলের জন্মদিন উপলক্ষে প্রার্থনা সভারও আয়োজন করে। ‘বাংলাদেশ-থাই শ্রী বৌদ্ধ মৈত্রী : বাড়াচ্ছে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ’ শীর্ষক সেমিনার ও পরে আয়োজিত প্রার্থনা সভায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার প্রধান সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি কালচার সংঘের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের সভাপতি ড. দীপঙ্কর বড়ুয়া। সেমিনারে ‘বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মের অতীত ও বর্তমান’ এবং ‘বাংলাদেশে পালি ভাষার উত্পত্তি’ পালি স্টাডিজ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম ও মহাথেরো শুদ্ধানন্দের হাতে উপহার হিসেবে বুদ্ধের একটি বিরল মূর্তি তুলে দেন থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা সোম দেব ফ্রা। গত এপ্রিলে বাংলা নববর্ষের উৎসব দেখতে ঢাকায় আসা থাইল্যান্ড সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী খুন ভিরা রজপোজচানারাত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় থাই মন্ত্রী বলেন, বৌদ্ধ পণ্ডিত ও গবেষণা বিনিময়ের মাধ্যমে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্জাগরণ করা প্রয়োজন। প্রস্তাবিত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তিতে বৌদ্ধ স্টাডিজ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন থাই মন্ত্রী। সেমিনার শেষে রাজা ভূমিবলকে উৎসর্গ করে প্রার্থনায় অংশ নেন থাইল্যান্ডে অধ্যয়নরত ৩০০ বৌদ্ধ বাংলাদেশি ভিক্ষু। প্রবাসীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

সর্বশেষ খবর