মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আয়কর দিলেন শেখ হাসিনা সময় নিলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি ২০১৫-১৬ করবর্ষে ১৪ লাখ টাকার বেশি আয়কর দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি আয়কর বিবরণী বা রিটার্নে তার আয় দেখিয়েছেন প্রায় ৪০ লাখ টাকা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্ধারিত সময়ে তার রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে রিটার্ন দাখিলের জন্য এক মাস সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন তাদের আয়কর উপদেষ্টারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-৬ এ নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করেন। প্রধানমন্ত্রীর আয়কর সংক্রান্ত আইনি বিষয়গুলো দেখভাল করেন তার ব্যক্তিগত আয়কর উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এম মনিরুজ্জামান খোন্দকার। তিনি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে স্বনির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আয়কর রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে। আয়ের খাত হিসেবে তিনি কৃষি, সম্মানী ও সম্মানী ভাতা এবং বাড়িভাড়া ইত্যাদি উল্লেখ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৮০’র দশকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করে আসছেন জানিয়ে এম মনিরুজ্জামান খোন্দকার আরও বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সচেতন করদাতা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত্ রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিটার্ন জমা দেন। একজন দায়িত্বশীল করদাতা হিসেবে স্বচ্ছতার সঙ্গে সব ধরনের আয় প্রদর্শন করে আইন অনুযায়ী সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব পরিশোধ করেন তিনি। তবে এখনো রিটার্ন দাখিল করেননি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার আয়কর সংক্রান্ত আইনি বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খানের আইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘আজম খান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’। এ প্রসঙ্গে গতকাল আহমেদ আজম খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর অফিসে আবেদন করে এক মাস সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করব বর্ধিত সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার। জানা গেছে, গত ৯ বছর যাবত্ করদাতা হিসেবে খালেদা জিয়ার কাছে প্রাপ্য রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। এই সময়ে খালেদা জিয়ার মোট ৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় প্রতিটি করবর্ষে আয়কর পরিশোধের জন্য অ্যাকাউন্ট পে-চেক প্রদান করে আসছেন তিনি। কিন্তু সেসব চেক নগদায়ন করে আয়কর গ্রহণ করা হয়নি। কোনো কর মামলা না থাকা সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়ার ৮টি ব্যাংক হিসাব ২০০৭ সাল থেকে জব্দ করে রাখা হয়েছে। তখনকার ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করে।

সর্বশেষ খবর