মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জাপানি হত্যা নিয়ে জঙ্গি ইসাহাক যা বললেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন  নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমরি এহসার সদস্য ইসাহাক আলী (৩২)। গতকাল রাতে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শফিউল আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, জেএমবি সদস্য ইসাহাক আলী কোনিও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে জবানবন্দিতে তিনি আর কী কী বলেছেন তা জানাতে রাজি হননি পিপি তুহিন। এদিকে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায়  হোনিও হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীর। তিনি কোনিও হত্যাকাণ্ডে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠন করা পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান। জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া থেকে জেএমবির এহসার সদস্য ইসাহাক আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে কোনিও হত্যা মামলায় আসামি দেখিয়ে ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর আগে ৩ ডিসেম্বর ভোরে পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় জেএমবির পীরগাছা-কাউনিয়া অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানাকে। পরে তাকে কোনিও হত্যা মামলায় আসামি দেখানো হয়। ১৬৪ ধারায় মাসুদ রানাও তার জবানবন্দিতে ৩ অক্টোবর জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও, ১০ নভেম্বর মাজারের খাদেম রহমত আলীকে হত্যা এবং ৮ নভেম্বর বাহাই সমপ্রদায়ের নেতা রুহুল আমিনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ ছাড়া রংপুরে তার দলের আরও অর্ধশত সদস্য সক্রিয় থাকার কথা স্বীকার করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ নিয়ে কোনিও হত্যায় জেএমবির দুই সদস্যসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। যদিও কোনিও হত্যার পর কাউনিয়া থানার ওসি বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর সকালে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে রিকশায় করে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে নিজের জাপানি কোয়েল ঘাসের খামারে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ৬৬ বছরের কোনিও।

সর্বশেষ খবর