শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী গ্রেফতারে শুরু হচ্ছে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে শুরু হচ্ছে বিশেষ অভিযান। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সভা শেষে এ অভিযানে নামবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পৌর নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ১৯ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বিশেষ অভিযানের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানিয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনী এলাকায় চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, মাস্তান, অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে ইসি। এ ছাড়া সভার মূল আলোচনায় এ বিষয়টি রাখা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠকের আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে প্রাক-নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা; নির্বাচনপূর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয় নির্ধারণ; সন্ত্রাসী, মাস্তান ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার ও তাদের দৌরাত্ম্য রোধে ব্যবস্থা; বিভিন্ন নির্বাচনী কার্যক্রম, নির্বাচনী সামগ্রী পরিবহন, সংরক্ষণে নিরাপত্তা বিধান; নির্বাচনী আইন এবং আচরণবিধিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা সুষ্ঠুভাবে পরিপালনের পরিবেশ তৈরি করা এবং ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মপরিকল্পনা নেওয়া। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর মাঠে থাকবেন। ১৯ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠকে কোথায় কজন করে নিয়োজিত থাকবেন সে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। পৌর নির্বাচনে নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী যোগ হচ্ছে না। তবে বিজিবির সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। পুলিশ, আনসার-ভিডিপি ও ব্যাটালিয়ন আনসার থাকবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায়। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র‌্যাব, এপিবিএন, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪ পৌরসভায় ভোট হবে। এতে ২০টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে ৯২৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়াইয়ে রয়েছেন আরও ১১ হাজারের বেশি প্রার্থী। এদিকে ১৯ ডিসেম্বরের পৌরসভার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠক উপলক্ষে বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ইসির অনুমোদিত কার্যপত্র পাঠানো হয়েছে। সবকিছু পর্যালোচনা করেই বৈঠকের পর কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী ও মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কোন বাহিনীর কজন নিয়োজিত থাকবেন তা ইসি সিদ্ধান্ত নেবে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে চাহিদা জানিয়ে দেওয়া হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, কেন্দ্রভিত্তিক সাড়ে চার হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এর বাইরে টহলে ও রিজার্ভে বিভিন্ন বাহিনীর পাঁচ থেকে আট হাজার সদস্য রাখার প্রস্তাব রয়েছে। বৈঠকের পর চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হবে। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠকের জন্য প্রস্তুত করা কার্যপত্রে সশস্ত্র বাহিনীর বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তবে র‌্যাব ও বিজিবির সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স হিসেবে দুই হাজার ১৯৩টি, প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৭৩১টি, প্রতি পৌরসভায় র‌্যাবের কমপক্ষে একটি টিম (প্রাপ্যতা সাপেক্ষে), প্রতি পৌরসভায় এক প্লাটুন বিজিবি (প্রাপ্যতা ও গুরুত্ব অনুসারে) এবং উপকূলীয় পৌরসভায় এক প্লাটুন করে কোস্টগার্ড মোতায়েন করার প্রস্তাব করছে ইসি।

সর্বশেষ খবর