শিরোনাম
শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

গায়ে আগুন দিয়ে ঢাবি ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী। গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ছাত্রী ঢাবির ফারসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র মাহবুব খান বলেন, “বিকাল পৌনে ৪টার দিকে টিএসসির তিন তলা থেকে নামার সময় দ্বিতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে চিত্কার শুনতে পাই। কাছে গিয়ে ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখি এবং একটি মেয়েকে ‘হেল্প হেল্প’ বলে চিত্কার করতে শুনি। পরে আমি এবং আমার এক বন্ধু টয়লেটের দরজা ভেঙে দেখি মেয়েটির শরীরে আগুন জ্বলছে। এ সময় পানি দিয়ে আমরা তার শরীরের আগুন নেভাই। পরে তাকে উপস্থিত লোকজনের সাহায্যে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাই।” ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ইনচার্জ ডা. ফয়সালুজ্জামান বলেন, আগুনে মেয়েটির শরীরের ২৮ ভাগ পুড়ে গেছে। তার বুক ও পেটের অনেকাংশ পুড়েছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। মেয়েটির সহপাঠীরা জানান, তার সঙ্গে ঢাবির নাট্যকলা বিভাগের এক ছাত্রের প্রেম ছিল। কিছু দিন আগে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এর পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এ ছাড়া ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকার কারণে তার পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এসব কারণে কয়েক দিন ধরে হতাশ ছিলেন তিনি। এদিকে খবর পেয়ে ওই ছাত্রীকে দেখতে ঢামেক হাসপাতালে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এ সময় তিনি মেয়েটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ ছাড়া ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদ, টিএসসি পরিচালক আলমগীর হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঢামেক হাসপাতালে তাকে দেখতে যান। অধ্যাপক এ এম আমজাদ বলেন, ‘প্রেমঘটিত কারণে মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর