বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

৯টার আগেই ভোট শেষ হয়ে যাবে : এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯টার আগেই ভোট শেষ হয়ে যাবে : এরশাদ

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ভোট সকাল ৯টার মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাওয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। উনি (নির্বাচন কমিশনার) উনার দায়িত্ব ভুলে গেছেন। উনি চাকরি করেন। কিন্তু এটা তো চাকরি নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন করা কমিটমেন্ট। সাংবিধানিক দায়িত্ব। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এ কথা বলেন। সম্মেলনে এরশাদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হিসেবে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জহিরুল আলম রুবেলের নাম ঘোষণা করেন। জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জহিরুল আলম রুবেলের পরিচালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিএম কাদের, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সাইদুর রহমান টেপা, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, তাজ রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া প্রমুখ। এরশাদ বলেন, এ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। আমার মনে হচ্ছে, এই নির্বাচন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট যেভাবে সকাল ৯টার মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল, আমার আশঙ্কা এই নির্বাচনও তেমন হবে। আওয়ামী লীগ অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে না। এইচ এম এরশাদ বলেন, আমাদের দলের দুজন প্রার্থীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড নেই। এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে, উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন। যাতে প্রধানমন্ত্রী উনার মন্ত্রী-এমপিদের লাগাম টেনে ধরেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তো শক্তিশালী। উনি ইচ্ছা করলেই ডিসি-এসপিদের বদলি করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত বলেন, আমাদের দলের দেড়শ প্রার্থী ছিলেন। ভয়ে অর্ধেক বসে পড়েছেন। জনগণ এই নির্বাচন মানবে না। কিন্তু দেশ ঠিকভাবেই চলবে। কারণ, এখন কথা বলার অধিকার নেই। এরশাদ বলেন,  এখন বুদ্ধিজীবীরা চুপ। তারা কথা বলেন না। কোথায় আছি আমরা? এটা কি গণতন্ত্র? বুদ্ধিজীবীরা কথা বলেন না। পত্রিকাও কিছু লেখে না। কারণ, তারও ভয়ে নিশ্চুপ। সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আপনি ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিন। এখন কি প্রধানমন্ত্রীকে এই কথা কেউ বলতে পারবেন? কিন্তু আমি দিয়েছিলাম। আমার সময় ৬ জন মানুষ মারা গেছে। ৬ জনের নাম মনে রাখা সহজ। এখন তো প্রতিদিন কত মানুষ মারা যাচ্ছে। তার কোনো হিসাব নেই। কেউ মনে রাখে না। তাদের কান্না বাতাসে হারিয়ে গেছে। এই গণতন্ত্র আমরা চাইনি। এরশাদ বলেন, আমাকে কথায় কথায় নূর হোসেনের খুনি বলা হয়। নূর হোসেনের বুকে লেখা ছিল গণতন্ত্র মুক্তি পাক। কিন্তু পেছনের লেখা কে লিখেছিল?

সর্বশেষ খবর