বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নিরাপত্তা ব্যয়ে ৬৯ কোটি টাকা চায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপত্তা ব্যয়ে ৬৯ কোটি টাকা চায় পুলিশ

পৌর ভোটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ৭৪ হাজার সদস্যের জন্য পাঁচ খাতে প্রায় ৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে পুলিশ বাহিনী। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৌর ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ অর্থ আগাম মঞ্জুর করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

যদিও নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে ইসির। একই সঙ্গে ভোটের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় বাহিনী মোতায়েনের খসড়া পরিকল্পনার ভেটিংকৃত পরিপত্র পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে পৌরসভা নির্বাচনে র্যাবের ৮১টি টিম (ব্যাটালিয়ন সদরে ৫৬ ও র্যাব সদরে ২৫), ১০২ পৌরসভায় এক প্লাটুন করে বিজিবি এবং ছয় পৌরসভায় এক প্লাটুন করে কোস্টগার্ড এবং প্রতি পৌরসভায় একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম রাখা হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ২৩৩ পৌরসভার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব ইতিমধ্যে নাকচ করেছে ইসি। নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে ইসির।

ইসির বাজেট শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, এ পর্যন্ত পুলিশের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব এসেছে। বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার কয়েক দিনের মধ্যে পাঠাবে। তারা যে দাবিই করুক না কেন ইসি বিবেচনা করে নির্দিষ্ট বরাদ্দ দেবে। কারণ, আইনশৃঙ্খলায় ইসির বরাদ্দ রয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। এর বাইরে যাবে না ইসি। তিনি জানান, ভোট কেন্দ্র ও টহলে লক্ষাধিক সদস্য থাকবে। এর মধ্যে পুলিশ ও আনসার বেশি থাকবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত পুলিশের অর্থ বরাদ্দসংক্রান্ত চাহিদার প্রস্তাব ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখায় পাঠানো হয়। ইসির সম্মতি নিয়ে আজ এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পুলিশের অর্থ বরাদ্দসংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছে— পৌরসভায় ৭৩ হাজার ৭৩০ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে। তাদের ভাতা বাবদ প্রায় ১১ কোটি ৪২ লাখ, যানবাহন বাবদ ৩৬ কোটি ১২ লাখ, অন্যান্য ব্যয় বাবদ ৬ কোটি ৫০ লাখ, শুকনো খাবার বাবদ ৫ কোটি ৫৮ লাখ এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লাগবে। ইসির কাছে পাঠানো ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাবের অনুলিপি পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছেও দেওয়া হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের চাহিদা যেমন ছিল সেভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনা রেখেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, এবিপিএন ও কোস্টগার্ড বহাল রাখা হয়েছে। বিজিবি থাকবে ১০২ পৌরসভায়। ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে। নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম তাদের টহলে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খসড়া পরিপত্রে ২৩৩ পৌরসভায় র্যাবের ৮১টি টিম (ব্যাটালিয়ন সদরে ৫৬ ও র্যাব সদরে ২৫), ১০২ পৌরসভায় এক প্লাটুন কর বিজিবি এবং ছয় পৌরসভায় এক প্লাটুন করে কোস্টগার্ড নিয়োজিত রাখার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি পৌরসভায় একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার যুগ্ম সচিব এ কে মফিজুল হক স্বাক্ষরিত এ খসড়া পরিপত্রে বলা হয়েছে— সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ১৯ ও গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রে ২০ জন করে নিরাপত্তা সদস্য থাকবে। এর মধ্যে সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ ৫ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৬ জন করে পুলিশ থাকবে। এর বাইরে ১৪ ও ১৫ জন করে অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি-এপিসি সদস্য থাকবে।

সর্বশেষ খবর