শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে আওয়ামী লীগ

রফিকুল ইসলাম রনি

জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে আওয়ামী লীগ

পৌরসভা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে চায় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। সিংহ ভাগ পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার পাশাপাশি ‘তৃণমূলে বিএনপির জনপ্রিয়তা নেই’ দেশ-বিদেশে এমন বার্তা দিতে চায় সরকার। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, তাদের তথ্যানুযায়ী দলীয় প্রার্থী ২০০টি পৌরসভায় এগিয়ে আছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে তারা বলছেন, পৌর নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভ করার মতো সাংগঠনিক অবস্থা ও জনপ্রিয়তা নেই। দলীয় সূত্রমতে, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একটাই লক্ষ্য— জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেওয়া। গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় ও ঢাকা-চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যে অভিযোগ তুলেছে, এই নির্বাচনে তার উচিত জবাব দিতে চায় ক্ষমতাসীনরা। এই নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশ-বিদেশের সবাইকে দেখিয়ে দিতে চায় আওয়ামী লীগ জনগণের দল এবং বিএনপি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগের টিম ও স্থানীয় নেতারা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এমপি নন, এমন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাসহ সবাই এই নির্বাচনের প্রচারণার অংশ নিতে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করেছে দলটি। এখনো যেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে, সেসব প্রার্থীকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বিদ্রোহীদের যারা মদদ দিচ্ছেন তাদের একটি তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগই নয়, দলের সহযোগী সংগঠনের পৃথক পৃথক টিম, দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন এমন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদেরও মাঠে নামানো হয়েছে নৌকার পক্ষে। কেন্দ্রীয় সেল ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে বিপর্যস্ত বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বিজয় চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টানা ৩ মাসের জ্বালাও-পোড়াও-অবরোধে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণিত হবে এ নির্বাচনের মাধ্যমে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের সুবাতাস বইছে। অন্যদিকে বিএনপি দেড় শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছে। পৌর নির্বাচনে সেসব মানুষ কী বিএনপিকে ভোট দেবে? জনগণ উন্নয়নে বিশ্বাস করে, জ্বালাও-পোড়াও-হত্যাকাণ্ডে নয়।’ তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই জয়লাভ করবে। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ছাড়তে পারেনি। মানুষ বিএনপি নেতাদের দেখলেই ভয় পায়। কারণ আগুন সন্ত্রাসের পক্ষে দেশের জনগণ নেই। দেশের মানুষ চায় উন্নয়ন-সুশাসন। যেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করছি। মানুষ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পাচ্ছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। উন্নয়নের জন্যই জনগণ আমাদের ভোট দেবে।

সর্বশেষ খবর