মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

উত্তেজনার ভোট কাল

জুলকার নাইন, মাহমুদ আজহার ও গোলাম রাব্বানী

উত্তেজনার ভোট কাল

পৌর নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল সতর্ক পাহারায় বিজিবি। বাগেরহাটে প্রার্থীর মাইক্রোবাসে আগুন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাত পোহালেই পৌরসভার ভোটগ্রহণ। সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রস্তুত নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল প্রতীকসহ অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। উৎসবমুখর এ নির্বাচন নিয়ে যেমন রয়েছে উত্তেজনা, তেমনি অজানা আশঙ্কাও রয়েছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। উদ্বিগ্ন খোদ নির্বাচন কমিশনও (ইসি)। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অবশ্য ইসি ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার  জন্য আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও আনসারসহ লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য টহল শুরু করেছে গতকাল থেকেই। চারস্তরের নিরাপত্তা থাকবে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। আজ প্রত্যেক কেন্দ্রে যাবে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী উপকরণ। কমিশনের শেষ মুহূর্তের নির্দেশনায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে দ্রুত ফলাফল পাঠাতে বলা হয়েছে। সবার প্রত্যাশা, কাল বুধবার দেশের ২৩৪ পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ২২২ প্রার্থীর মধ্যে। অন্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছেন। নারী মেয়র প্রার্থী ২০ জন ভোটে রয়েছেন। গতকাল মধ্য রাতে প্রচারণা শেষ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ১২ হাজার প্রার্থী। দলভিত্তিক পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন গতকাল দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে, পথসভা ও ঘরোয়া সভার মাধ্যমে ভোট চেয়েছেন প্রার্থীরা। কাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে একটানা ভোট। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দলভিত্তিক প্রথম পৌর নির্বাচনের শেষটাকেই বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ বলছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রচারণা শেষ। আমরা ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে বিধি ভঙ্গ ও নানা ধরনের অভিযোগের মধ্যে তা যাচাই করে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। ভোট ভালোভাবে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিবৃতি দিয়েছেন। সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমি মনে করি কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে। আর সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। সেটা সরকার শতভাগ পালন করবে।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের বলেছেন, ‘নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করুন। আপনারা নিজ নিজ এলাকায় যান; এগিয়ে আসুন। ভোটকেন্দ্রে যাবেন, ভোটকে রক্ষা করুন— দেশনেত্রী এই আহ্বান জানিয়েছেন।’ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার ভোটে ২০টি দল অংশ নিচ্ছে, এর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ২৮৮ জন। অবশ্য ২৩৫ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ২২৮ জন ও বিএনপির ২২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় এ দুই প্রধান দল কয়েকটি পৌরসভায় মুখোমুখি না থাকলেও শরিকদের সঙ্গে লড়বে। ভোটের শুরু থেকে প্রচারের শেষ পর্যন্ত বিধি লঙ্ঘন ও হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে অন্তত অর্ধশতাধিক পৌরসভায়। ইসির মনিটরিং কমিটির এমন ৭৮টি পৌরসভার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযোগের তদন্তেও দিয়েছে। যদিও অধিকাংশের কোনো সত্যতা পায়নি মাঠকর্মকর্তারা। ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটের ঠিক দুই দিন আগে অধিকাংশ রিটার্নিং কর্মকর্তা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বিজিবি মোতায়েনের চাহিদাপত্র দেওয়ায় ২২৯ পৌরসভায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাকি ৬ উপকূলীয় পৌরসভায় কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌরসভা এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিজিবি-র‌্যাব-কোস্ট গার্ড ও পুলিশ। এদিকে সোমবার সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পৌর এলাকা : নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রায় লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, সবমিলিয়ে এ নির্বাচনে প্রায় এক লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকছে। এর মধ্যে ভোটের দিন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ নির্বাচনে বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা নির্বাচনী মাঠে থাকছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি ও ব্যাটালিয়ন আনসার সার্বক্ষণিক থাকছে। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র‌্যাব, এপিবিএন, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত থাকছে। এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেতৃত্বে ও অপরাধ দেখভালে মাঠে থাকছে সর্বমোট ১ হাজার ২০৪ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

মাঠে থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রায় সোয়া লাখ : ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক লাখ ১৭ হাজার ৩০৪ জন সদস্য মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবে। এর মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার পুলিশ সদস্য, বিজিবি’র নয় হাজার ৪১৫ জন, র‌্যাবের আট হাজার ৪২৪ জন, কোস্টগার্ড ২২৫ জন, আনসার-ভিডিপি ৪৯ হাজার ৭২৮ জন এবং ব্যাটালিয়ন আনসার থাকবে চার হাজার ৫১২ জন।

শেষ মুহূর্তেও প্রার্থীদের শঙ্কা : নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রায় প্রতিটি পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি অনেক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের না যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।

রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা : ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে দ্রুত ফলাফল পাঠাতে রিটার্নিং অফিসারদের বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বিকালে এ বিশেষ নির্দেশনা সব রিটার্নিং অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত রবিবার ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়টি কড়া নজরদারিতে রাখতে রিটার্নিং অফিসারদের বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা ও পরবর্তী সময়ে যাতে সহিংসতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার জঙ্গি হামলার আশঙ্কার ভিত্তিতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে ভোটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ভোটার ও ভোটকেন্দ্র : নির্বাচনে ৩ হাজার ৫৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে। এসব ভোট কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭১টি। এ হিসাবে প্রতি কেন্দ্রে ১ জন করে ৩ হাজার ৫৫৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, প্রতি বুথে ১ জন করে ২১ হাজার ৭১ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রতি বুথে ২ জন করে ৪২ হাজার ১৪২ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মোট ভোট গ্রহণ করবেন ৬৬ হাজার ৭৬৮ জন কর্মকর্তা। এতে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৪ জন এবং নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬০ জন। ইতিমধ্যে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের ব্যালট পেপার, সিল, ফরম প্যাকেট ও অন্যান্য নির্বাচন সামগ্রী নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছেছে। আজ সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে সব মালামাল।

নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি : ২৩৪টি পৌরসভায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফলে নির্বাচনী এলাকায় সব অফিস বন্ধ থাকবে।

শেষ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা : গতকাল মধ্যরাতে শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। ফলে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি আজ থেকে কোনো ধরনের প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

বহিরাগতদের অবস্থান ও বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ : গত রাত ১২টার মধ্যেই বহিরাগতদের (যারা ভোটার বা বাসিন্দা নন) নির্বাচনী এলাকা ত্যাগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী ৭ দিন অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের অস্ত্রসহ চলাফেরা না করা, অস্ত্রবহন ও প্রদর্শন না করা বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইসির অনুমোদনের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এসব নির্দেশনা সংক্রান্ত পরিপত্র বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।

৪৮ ঘণ্টা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : আজ মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু করে মোট ৪৮ ঘণ্টা যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা (দিবাগত মধ্যরাত) থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ইতিমধ্যে এ নির্দেশনা জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় গত ২৭ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইসি ও রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদিত পরিচয়পত্রধারী, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, জরুরি পণ্য সরবরাহ ও অন্যান্য প্রয়োজনে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।

নির্বাচনে যত প্রার্থী : ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচনে ২০টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে ৯৪৫ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে রয়েছে ১১ হাজারের বেশি। এবার ভোটে মুখোমুখি মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকা-ধানের শীষ নিয়ে ২২২ প্রার্থী। নারী মেয়র প্রার্থী ২০ জন ভোটে রয়েছেন। ২০টি দল অংশ নিচ্ছে, এর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ২৮৮ জন। অবশ্য ২৩৪ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ২২৮ জন ও বিএনপির ২২৫ জন ও জাতীয় পার্টির ৭৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে।

আরও এক এমপিকে সতর্ক করল ইসি : ভোটের প্রচারে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করে বিধি লঙ্ঘন করায় সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের এমপি গাজী ম ম আমজাদ হোসেনকে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে রায়গঞ্জ পৌরসভার সরকার দলীয় প্রার্থী আবদুল্লাহ আল পাঠানকেও সতর্ক করা হয়েছে। পৌর ভোটের প্রচারের শেষ দিন গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্থানীয় এমপি ও প্রার্থীকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বরগুনার দুই এমপিকে এভাবে সতর্ক করে দ্রুত এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইসি। এ পর্যন্ত অন্তত ছয়জন এমপিকে সতর্ক ও শোকজ করা হলো।

দুই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ শাহজাদপুর ও ফুলপুর থানার ওসি প্রত্যাহার : প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ সদর পৌরসভার এক সহকারী প্রিজাইডিং ও এক পোলিং অফিসারসহ শাহজাদপুর ও ফুলপুর থানার ওসিকে প্রত্যাহার করেছে নির্বাচন কমিশন।

আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল ইসিতে : নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকির জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিনকে প্রধান করে সাত সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর