মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ইসি নিজেকে হাসির পাত্রে পরিণত করেছে : সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি দলের ২৩ জন মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, বরং এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ‘হাসির পাত্রে’ পরিণত করেছে। এর মাধ্যমে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা কোনোভাবেই বৃদ্ধি পায়নি। গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের উচিত গণমাধ্যমের রিপোর্টিংয়ের ওপর বাধা নিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া। ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পৌর নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি কনফারেন্স সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুজন সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ খান। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। বক্তব্য রাখেন গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। সুজন সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ খান বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার পরও ইসি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া থেকে পিছিয়ে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসি জরিমানা ও উকিল নোটিস দিয়ে কাজ শেষ করছে। পৌর নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কোনো তত্পরতা দেখতে পাচ্ছি না। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পৌর নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে না। তবে জনসমর্থন কাদের পক্ষে তা জানা সম্ভব। এ নির্বাচন ইসির জন্য বড় পরীক্ষা। নির্বাচন কমিশন কেমন ভূমিকা পালন করে, তা দেখার অপেক্ষায় আছে দেশের মানুষ। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যমের ওপর যে বাধা-নিষেধ আরোপ করেছে, তা গণতান্ত্রিক নয়। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একটি দলের পক্ষে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল হলে সবকটি মনোনয়নপত্র বাতিলের বিধান থাকলেও মাগুরা সদর, খুলনার পাইকগাছা এবং বরগুনার বেতাগী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও একজন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবার সরকারি দলের বিদ্রোহী ও প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র কারসাজির মাধ্যমে বাতিলের অভিযোগ উঠেছে  ইসির বিরুদ্ধে। প্রয়োজনে দু-একজনের প্রার্থিতা বাতিল করুন, নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করুন। যেসব প্রার্থী নিরাপত্তহীনতার ভুগছেন, তাদের নিরাপত্তা দিন। গণমাধ্যমের রিপোর্টিংয়ের ওপর বাধা নিষেধ পরিহার করুন। নির্বাচনী দায়িত্বপালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের স্বাধীনভাবে দায়িত্বপালন করতে দিন। কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার বা বাক্স ছিনতাই বা জাল ভোট রোধে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিন। দৃশ্যমান সহিংসতা ছাড়াও অদৃশ্য নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটেছে ফেনীতে। যেখানে ৩টি পৌরসভার ৪৮টি কাউন্সিলর পদের মধ্যে ৪৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে জোর করে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশিত হলেও কমিশন টুঁ-শব্দটি করেনি।

সর্বশেষ খবর