মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ইজতেমায় পাকিস্তানসহ দশ দেশের নাগরিকদের নিয়ে সতর্কতা

মোস্তফা কাজল

রাজধানীর প্রান্তিক এলাকায় একাধিক জঙ্গি আস্তানার সন্ধান, বোমা ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় এবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। বিশেষ করে গাজীপুর ও মিরপুর এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় তারা র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালায়। তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানের চারপাশসহ ঢাকার উপকণ্ঠে ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা বিভিন্ন পরিচয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে অবস্থান  করছে বলে একাধিক সূত্র থেকে সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে। সরকারের  একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, সরকারবিরোধী জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সহযোগিতায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর সদস্যরা মুসল্লির ছদ্মবেশে নিজেদের আড়াল করে ইজতেমা মাঠে নাশকতা চালাতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাকরাইলের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইজতেমা মাঠের তাবলিগ সংগঠকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সাম্প্রতিক জঙ্গি তত্পরতার  প্রেক্ষাপটে এবার বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দুই পর্বের এ ইজতেমাকে ঘিরে থাকছে ১০ দিনব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া জর্ডান, মিসর, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, লেবানন, সোমালিয়া, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানসহ ১০ দেশের নাগরিকদের ভিসা প্রদান ও ইজতেমা মাঠে চলাফেরার ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন ৫২তম বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে ১০ জানুয়ারি। এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। এ পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জানুয়ারি।

বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন-অর রশিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে থাকবে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ময়দান ঘিরে ২০ হাজার র‌্যাব-পুলিশের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া বাইনোকুলার, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। মোনাজাতের দুই পর্বে আকাশে টহল দেবে র‌্যাবের হেলিকপ্টার। ইজতেমা ময়দানের সব প্রবেশ পথে থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও বিভিন্ন পয়েন্টে ১০টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে। ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার মো. গিয়াসউদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার সব প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। দু-একদিনের মধ্যে বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা আসতে শুরু করবেন।

সর্বশেষ খবর