মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকে কিনা সন্দেহ : আশরাফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়নের প্রতীক ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মেয়র নির্বাচিত করুন। গতকাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভোটারদের প্রতি এ আহ্বান জানান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, পৌর নির্বাচনে থাকবেন কিনা সন্দেহ আছে। সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন। পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে বিএনপির দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো দিনই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানোর প্রয়োজন হয়নি। তাহলে এখন কেন প্রয়োজন পড়ল? আসলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করাই বিএনপির উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, বর্তমানে সেনাবাহিনী নামানোর দরকার নেই, ভবিষ্যতেও প্রয়োজন হবে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নিজস্ব জরিপে উঠে এসেছে, অধিকাংশ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জয়লাভ করবে। কেননা নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, শান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনার প্রতীক। তিনি বলেন, এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।  বেগম জিয়াকে উদ্দেশ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আপনি নির্বাচনে থাকুন। নির্বাচন বর্জন করবেন না। ভোট গণনা পর্যন্ত থাকুন। কারণ, গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন খুবই জরুরি। নির্বাচন বিতর্কিত করলে আপনার কোনো লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রীরও কোনো লাভ নেই। এতে দেশের ও গণতন্ত্রের ক্ষতি হবে। তিনি আরও বলেন, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবগুলোতে জিতে গেলেও সরকারের কিছু আসবে বা যাবে না। আবার একটাতে না জিতলেও সরকারের পরিবর্তন হবে না। নতুন সরকারের প্রশ্ন আসবে আগামী সাধারণ নির্বাচনের পর।  তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে। আর সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। সেটা সরকার শতভাগ পালন করবে।

সৈয়দ আশরাফ প্রশ্ন তোলেন, বিএনপির নেত্রী মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, সেটা এখন কোনো ইস্যু নয়। পৌরসভা নির্বাচনের সঙ্গে এটা সম্পৃক্তও নয়। তাহলে তিনি কেন এই বিতর্ক তৈরি করলেন, এই বিতর্কের কারণ কী? নিশ্চয়ই এর পেছনে তার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে। সেটারই অংশ হিসেবে তার এই বিতর্ক তৈরি করা। তিনি বলেন, বিএনপি বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ করে থাকে। কোনো অভিযোগের সত্যতা পাইনি। অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত কথা বলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। প্রক্রিয়া চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, মুকুল বোস, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আবদুল মান্নান খান, ড. আবদুর রাজ্জাক, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, একে এম এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, অপু উকিল, লিয়াকত সিকদার প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর