একযোগে ২৩৪ পৌরসভার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে আজ। প্রায় ৭১ লাখ ভোটার নিজ নিজ পৌর এলাকায় মোট ২২৭ জন মেয়র এবং ২ হাজার ১৯৩ জন সাধারণ ও ৭৩১ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোট গ্রহণ। সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেছেন, দায়িত্বে কোনো শৈথল্য বরদাস্ত করা হবে না। ভোটপ্রিয় জনগণ একে উত্সব হিসেবেই নিচ্ছেন। এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে রয়েছে উত্সাহ-উদ্দীপনা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা কমপক্ষে ১০০ পৌর এলাকায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সাংঘর্ষিক অবস্থান তৈরি করেছে উত্কণ্ঠা ও শঙ্কার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে যে রাজনৈতিক বন্ধ্যত্ব চলছিল, তা কেটে গেছে সব দলের অংশগ্রহণের এ পৌর নির্বাচনে। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচনের এ লড়াইয়ে নেমেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ২০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। নিবন্ধন হারানো জামায়াতও আছে স্বতন্ত্রের চেহারায়। তবে বেশির ভাগ অঞ্চলে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যেই। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের এই প্রতীকে দীর্ঘ সাত বছর পর হতে যাচ্ছে ভোটের লড়াই।
নির্বাচন কমিশন গতকালই প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও বাক্সসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লক্ষাধিক সদস্য শুরু করেছেন টহল। দলভিত্তিক প্রথম পৌর নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করাকেই বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ বলছে নির্বাচন কমিশন। সরকারি দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ নিশ্চিতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে যে কোনো ফলাফলই মেনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বৃহত্ রাজনৈতিক দল বিএনপি। বিভিন্ন জেলার প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তারাও তাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচন থাকা প্রত্যেক এলাকায়।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসারে, ২৩৪ পৌরসভার ৩ হাজার ৫৫৫টি কেন্দ্রে ভোট হবে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ রয়েছে ২১ হাজার ৭১টি। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৬৬ হাজার ৭৬৮ জন কর্মকর্তা। প্রতি কেন্দ্রে ১ জন করে ৩ হাজার ৫৫৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, প্রতি বুথে ১ জন করে ২১ হাজার ৭১ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রতি ভোটকক্ষে ২ জন করে ৪২ হাজার ১৪২ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এবার মোট ভোটার রয়েছেন ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ২৮৪ আর নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬০ জন। মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের ব্যালট পেপার, সিল, ফরম প্যাকেট ও অন্যান্য নির্বাচনসামগ্রী ভোট কেন্দ্রে পৌঁছেছে। এ নির্বাচনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের ২ কোটি ১৩ লাখের বেশি ব্যালট পেপার, ভোট দেওয়ার সিলসহ নির্বাচনসামগ্রী পাঠিয়েছে ইসি।জানা যায়, ২৩৪ পৌরসভায় একজন করে মোট ২৩৪ মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ২ হাজার ১৯৩ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৭৩১ পদ রয়েছে। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র পদে ৭, কাউন্সিলর পদে ৯৪ ও নারী কাউন্সিলর পদে ৪০ জন ইতিমধ্যেই নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিগুলোতে মেয়র পদে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৯৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৮ হাজার ৭৪৬ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৪৮০ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ২৩৪, বিএনপির ২২৩, জাতীয় পার্টির ৭৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। সব মিলিয়ে দলীয় প্রার্থী ৬৬০ ও স্বতন্ত্র রয়েছেন ২৮৫ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপির অর্ধশতাধিক বিদ্রোহী স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে এলডিপি ১, জেপি ৬, সিপিবি ৪, ন্যাপ ১, ওয়ার্কার্স পার্টি ৮, বিকল্পধারা ১, জাসদ ২১, বাসদ ১, তরীকত ফেডারেশন ১, এনপিপি ১৭, পিডিপি ১, ইসলামী ঐক্যজোট ১, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৫৭, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ১, খেলাফত মজলিসের ১ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটের ঠিক দুই দিন আগে অধিকাংশ রিটার্নিং কর্মকর্তা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বিজিবি মোতায়েনের চাহিদাপত্র দেওয়ায় ২২৯ পৌরসভায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাকি ৬ উপকূলীয় পৌরসভায় কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌরসভা এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিজিবি-র্যাব-কোস্টগার্ড ও পুলিশ। প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০৪ জন সদস্য মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার পুলিশ সদস্য, বিজিবির ৯ হাজার ৪১৫, র্যাবের ৮ হাজার ৪২৪, কোস্টগার্ড ২২৫, আনসার-ভিডিপি ৪৯ হাজার ৭২৮ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার থাকবেন ৪ হাজার ৫১২ জন। সোমবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ভোটের দিন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন সদস্য দায়িত্বে থাকছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাখা হচ্ছে মেটাল ডিটেক্টর। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আরও বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকছেন। এসব বাহিনীর নেতৃত্বে ও অপরাধ দেখভালে মাঠে থাকছেন সর্বমোট ১ হাজার ২০৪ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল থেকে পরবর্তী সাত দিন সব বৈধ অস্ত্রসহ চলাফেরা না করা, বহন ও প্রদর্শনে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। গত সন্ধ্যায় ২ হাজার ২৯ সন্ত্রাসী ও ক্যাডারের তালিকা ইসি সচিবালয় থেকে পাঠানো হয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের কাছে। সে অনুযায়ী শুরু হয়েছে গ্রেফতারাভিযানও।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে বিধিভঙ্গ ও নানা ধরনের অভিযোগের মধ্যে তা যাচাই করে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। ভোট ভালোভাবে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে। ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতাও চেয়েছেন। রাঙামাটি রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোস্তফা জামান বলেন, নির্বাচন প্রভাবমুক্ত, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শহরে সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
৪৮ ঘণ্টা যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : গত রাত থেকে শুরু করে মোট ৪৮ ঘণ্টা যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা (দিবাগত মধ্যরাত) থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ইতিমধ্যে এ নির্দেশনা জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ২৭ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসি ও রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদিত পরিচয়পত্রধারী, নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, জরুরি পণ্য সরবরাহ ও অন্যান্য প্রয়োজনে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
ফলাফল নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা ইসির : নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। এ-সংক্রান্ত একটি বিশেষ পরিপত্র জারি করে কমিশন বলেছে, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর আপডেট দিতে হবে ইসিতে। এ ছাড়া পরিপূর্ণ ফলাফল কমিশনে পাঠানো পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের কার্যালয় ত্যাগ করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কমিশনসূত্র জানায়, ফলাফল তদারকিতে ২৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ৫ জন উপসচিব, ৫ জন সিনিয়র সহকারী সচিব ও ১৪ জন সহকারী সচিব রয়েছেন।
উত্তরাঞ্চলে বাড়তি নিরাপত্তা : উত্তরাঞ্চলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে বিষয়টি কড়া নজরদারিতে রাখতে রিটার্নিং অফিসারদের বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা ও পরবর্তী সময়ে যাতে সহিংসতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার জঙ্গি হামলার আশঙ্কার ভিত্তিতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে ভোটে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোট প্রদান ও নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই : পৌরসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল সচিবালয়ে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের যখন যেখানে যেভাবে তাদের প্রয়োজন হবে তারা কাজে লাগাবে।
সিইসির হুঁশিয়ারি : সুষ্ঠুভাবে পৌর নির্বাচন সম্পন্ন করতে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। সিইসি বলেছেন, পৌর ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোটে কোনো অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নিন। দায়িত্বে কোনো ধরনের শৈথিল্য বা পক্ষপাতিত্ব করলে তা বরদাস্ত করা হবে না বলেও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানে সবার সহযোগিতা চেয়ে সিইসি কাজী রকিব বলেন, নির্ভয়ে ভোট দিন। পক্ষপাতিত্ব বরদাস্ত করা হবে না।
গত রাত ৯টায় নির্বাচন কমিশনের সম্মেলনকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার, গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা চান সিইসি কাজী রকিব।