শিরোনাম
বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
গাজীপুরে ২ জঙ্গি নিহত

পরিচয় মেলেনি এখনও দুই মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার যোগীতলার জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ, সরকারি কাজে বাধাদান ও বোমা বিস্ফোরণে নিহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার রাতে জয়দেবপুর থানায় হওয়া দুটি মামলার বাদী র‌্যাব-১-এর পরিদর্শক (শহর ও যান) সেলিম খান। তবে মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি। অন্যদিকে র‌্যাবের অভিযানে নিহত দুই জঙ্গি হেলাল ও মামুনের লাশ এখনো শনাক্ত করতে আসেনি কেউ। নিহতদের লাশ দুই দিন ধরে পড়ে আছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে। লাশ কেউ না নিলে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। মামলার বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন, র‌্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে জয়দেবপুর থানার যোগীতলা এলাকায় দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ-সংলগ্ন পরিত্যক্ত বাড়িটিতে কতিপয় জঙ্গি সদস্য গোলাবারুদসহ অবস্থান করে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এরপর রবিবার রাতে পরিত্যক্ত বাড়িটি র‌্যাব সদস্যরা ঘিরে ফেলেন। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিতর থেকে জঙ্গিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। পরে র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে দুই জঙ্গি মারা যায়। পরে র‌্যাব সদস্যরা ওই বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, চারটি অবিস্ফোরিত বোমা, ২৯টি ডেটোনেটর, বোমা তৈরির দুই কেজি বিস্ফোরক, চারটি জিহাদি বই, কিছু মার্বেল, লোহার নাট-বল্টু উদ্ধার করে। এদিকে র‌্যাবের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ওই ঘাঁটিতে অন্য আর কোন কোন জঙ্গির যাতায়াত ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। র‌্যাবের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, যোগীতলার আস্তানায় অন্য জঙ্গিদের আসা-যাওয়ার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করার সময় অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাব পৃথক দুটি মামলা করে। তিনি জানান, ওই ঘাঁটির আশপাশের লোকদের কাছে জানা গেছে, এখানে নতুন নতুন লোক আসা-যাওয়া করতেন। তারা পাশে থাকা মসজিদে নামাজ আদায় করতেন।

অন্যদিকে যোগীতলা অপারেশনের পর বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় যে জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত মিনহাজুল ও মাহবুব নিহত হয়েছেন। যদিও এ দুজন বেঁচে আছেন এবং র‌্যাবের গোয়েন্দারা আরেক দফা তাদের ডেকে গতকাল কথাবার্তা বলেন। দীর্ঘ কারাভোগের পর রবিবার তারা মুক্তি পেলে র‌্যাব-১-এর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আনা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই দুজনকে। গোয়েন্দা-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারা অনেকটাই নিশ্চিত হতে পেরেছেন নিহত দুই জঙ্গি হেলাল ও মামুন। ওই ঘাঁটি থেকে সাঁজোয়া হয়ে তারা কোথাও হামলার জন্য যেত। কিন্তু র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপনে সোর্স নিয়োগের ফলে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

সর্বশেষ খবর