বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বর্জন, সংঘাত গোলাগুলির ভোট

সাতকানিয়ায় একজন নিহত, আহত দুই শতাধিক, গ্রেফতার শতাধিক

জুলকার নাইন, মাহমুদ আজহার, গোলাম রব্বানী ও রফিকুল ইসলাম রনি

বর্জন, সংঘাত গোলাগুলির ভোট

বাঁ থেকে : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার শায়েস্তানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিল মারা ব্যালট পেপার ঢোকান কর্মীরা, বরগুনায় ব্যালট বাক্স ভাঙচুর, ধামরাইয়ে সিল মারা ব্যালট পেপার কুড়াচ্ছেন পুলিশ সদস্য, মাগুরায় মহিলা ভোটারদের দীর্ঘ লাইন, মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের পিটুনি ও অস্ত্র হাতে ক্যাডার, ত্রিশালে (নিচে) আরেক অস্ত্রবাজ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কেন্দ্র দখল, বর্জন, জাল ভোট, গোলাগুলি আর দিনভর সংঘর্ষ-হামলায় গতকাল সারা দেশে ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের ছিল দীর্ঘ লাইন। সকালের দিকে নারী ভোটারদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায় অনেক পৌরসভায়। তবে কোনো কোনো স্থানে ভোটের আগের রাত থেকেই দখলের মহড়া চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি পৌরসভায়। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন মোহাম্মদ নুরুল আমিন নামে এক যুবক। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ২৩৪ পৌরসভায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। প্রায় ৭১ লাখ ভোটার নিজ নিজ পৌর এলাকায় মোট ২২৭ জন মেয়র ও ২ হাজার ১৯৩ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ভোট দেন। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের সংঘর্ষ হয়। বিএনপি দাবি করেছে, সারা দেশে অন্তত ২০০ কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ বলেছে, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নানা অভিযোগে অন্তত ৪০ জন মেয়র প্রার্থী দুপুরের মধ্যেই নির্বাচন বর্জন করেন। বেশ কয়েকটি পৌরসভায় কাউন্সিলর প্রার্থীরাও বর্জন করেন নির্বাচন। শুধু নৌকা-ধানের শীষের প্রার্থীই নন, কোনো কোনো স্থানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরও সংঘর্ষ বাধে। এতে আহত হয় দুই শতাধিক। সারা দেশে গ্রেফতার করা হয় বিভিন্ন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের শতাধিক কর্মী-সমর্থক। আর্থিক জরিমানা ও কারাদণ্ডও দেওয়া হয় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের। এছাড়া নরসিংদীর মাধবদী, ঠাকুরগাঁও সদর, নোয়াখালীর চৌমুহনী ও নীলফামারীর সৈয়দপুর, বরগুনার বেতাগী ও মাদারীপুরের কালকিনিতে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। জোর করে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সভর্তি করার ঘটনা এবং সংঘর্ষের কারণে অন্তত অর্ধশত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—চট্টগ্রামের চন্দনাইশে তিনটি, নীলফামারীর সৈয়দপুরে তিনটি, মাদারীপুরের কালকিনিতে দুটি, কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুটি এবং কুমিল্লার বরুড়া, ময়মনসিংহের ভালুকা, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, বরগুনা, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, নড়াইলের কালিয়া ও পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভা। পরে অবশ্য এসব পৌরসভায় ভোট চলে। যথারীতি ফলাফলও ঘোষণা করা হয়। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

সাতকানিয়ায় গুলিতে একজন নিহত : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাতকানিয়া সরকারি কলেজ হোস্টেলের পূর্ব পাশে সকাল ১০টায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন (৪০)। এ সংঘর্ষ হয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মোজাম্মেল হক ও মনিরুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে। নিহত নুরুল আমিনকে যুবদল কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এসপি কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, কেন্দ্র থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। নিহত নুরুল আমিন (৪০) সাতকানিয়ার গোয়াজরপাড়ার আবদুর রহিমের ছেলে। কক্সবাজারের মহেশখালীতে তার একটি লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। নিহতের চাচাতো ভাই আবুল কালাম বলেন, নুরুল ভোট দেওয়ার জন্য বাড়িতে এসেছিলেন। কেন্দ্রে যাওয়ার আগে গোলাগুলির সামনে পড়ে তিনি নিহত হন। বিএনপির নির্বাচনী মনিটরিং সেলের সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘নুরুল আমিন আমাদের কর্মী।’ রিটার্নিং কর্মকর্তা সাতকানিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘আমরা গুলির শব্দ শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।’

জামালপুর : জামালপুর সদরের সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশ ৩০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়া আজাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছনকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানিয়াবাজার উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে জোর করে ব্যালটে সিল মারার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রিটার্নিং কর্মকর্তা এই তিন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শাহনেওয়াজ শাহেনশাহ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূরুন্নবী অপু এবং কাউন্সিল প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে কয়েক দফা সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সরিষাবাড়ীর বাঙ্গালীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট স্থগিত ঘোষণা করা হয়। সরিষাবাড়ীর গজারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হলে পুলিশ ৯ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এ ছাড়া আলহাজ জুটমিল কেন্দ্রে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ছয়জন। এদিকে জেলার মাদারগঞ্জে দুপুরে চাঁদপুর সন্ধ্যাজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে সুমন (২৫) ও জহির উদ্দিন মোল্লা (৬৫) গুলিবিদ্ধ হন।

কুমিল্লার ছয় পৌরসভায় ব্যালট ছিনতাই : কুমিল্লার ছয় পৌরসভায় জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। চৌদ্দগ্রাম, চান্দিনা, হোমনা ও দাউদকান্দি পৌরসভার অধিকাংশ কেন্দ্র দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরুড়া পৌরসভায় ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের দায়ে একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সকালে রিটার্নিং অফিসার লুত্ফুন্নাহার নাজিম বরুড়ার লতিফপুর কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেন। লাকসামে ভোটারদের মাঝে প্রভাব বিস্তারের সময় দেশীয় অস্ত্রসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে।

নবনির্বাচিত কাউন্সিলরকে গুলি : কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শ্রমিকলীগের সভাপতি ও দাউদকান্দি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মো. রকিব উদ্দিন রকিবকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রাত ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ থেকে নির্বাচনের ফলাফল শেষে বিজয় লাভ করে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

রাজশাহীতে বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা : রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু নঈম মো. শামসুর রহমান মিন্টুর ওপর হামলা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বেলা পৌনে ১টার দিকে তাহেরপুরের জামগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা। এতে মিন্টুর মাথা জখম হয়েছে। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি কর্মী নয়ন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। 

মৌলভীবাজারে চার সাংবাদিকসহ আহত ৩০ : কমলগঞ্জ ছাড়া মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, বড়লেখা পৌরসভার কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষে চার সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার সদর পৌরসভা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের এসআইসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

সৈয়দপুরে গুলি, আহত ১৩ : সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে চারটি কেন্দ্রে দুপুরবেলা ধানের শীষ ও নৌকার সমর্থকের মধ্যে গোলযোগ ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। গুলিবিদ্ধ দুজন আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরী ভলু ও বিএনপির সমর্থক ফজলুর রহমান লাল্টু। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আমিনুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৈয়দপুর মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, নয়াটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফ্রি আমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। গোলযোগের আশঙ্কায় চারটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। তবে পৌর এলাকার ৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে চারটি বাদে সবগুলোতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়।

গাংনীতে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা : চৌগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রে আসতে বিরোধী পক্ষের ভোটারদের বাধার সৃষ্টি করছেন। তারা ভোটারদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। আলাউদ্দিন নামের এক ভোটার অভিযোগ করেন। তার ভোট আগেই কেউ দিয়ে দিয়েছেন। একই কেন্দ্রে সকাল ৯টার দিকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে মোহাম্মদ রাসেল নামের এক যুবককে ১০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত মান্নান।

সাভারে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই : ঢাকা জেলার সাভার ও ধামরাই পৌরসভায় ব্যাপক জাল ভোট, কেন্দ্র দখল আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, অধিকাংশ কেন্দ্রেই বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এসব কারণে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী শিশির ফেরদৌসসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সকালে সাভার পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাসমহল এলাকার রাজমহল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আবদুল গনির ছেলে ফারুক হাসান তুহিনের নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে জাল ভোট দিতে শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা ভোট দেওয়ার পর নেতা-কর্মীদের নিয়ে মেয়র প্রার্থীর ছেলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।

পাবনায় কেন্দ্র দখল : পাবনার সুজানগরের চারটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। বিকাল ৩টার দিকে পাবনা হোমিও কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে জাল ভোট দিতে থাকে। একই ঘটনা ঘটে জেলা স্কুল, সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুল ও ফজলুল হক পৌর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। তবে পুলিশ ও প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে জাল ভোট দিতে না পেরে সেন্ট্রাল গার্লস স্কুল কেন্দ্রে তারা ব্যাপক ভাঙচুর করে।

রাঙামাটিতে পুলিশের গুলি : রাঙামাটিতে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ভোটারদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন শাহআলম নামে এক ভোটার। ইটপাটকেলে পুলিশ সদস্য মো. দিদারুল আলমসহ আহত হয় আরও চারজন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নরসিংদী : সদরের বীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ব্রাহ্মন্দী সরকারি কে কে এম উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে কিছু লোককে পুলিশের উপস্থিতিতে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিতে দেখা যায়। মাধবদীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে।

টাঙ্গাইল : ভূঞাপুর পৌরসভার বাহাদিপুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তারিকুল ইসলাম চঞ্চলের ওপর প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়েছে। তাকে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ঘাটান্দি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মাসুদের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তারিকুল ইসলাম চঞ্চলের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট খায়রুল ইসলাম বাবুলসহ আরও সাতজন আহত হয়।

নোয়াখালী : চৌমুহনী পৌরসভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালটে সিল মারাসহ কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালায়। ১০-১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রিটার্নিং অফিসার ২০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০টির ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন। হাতিয়া পৌরসভায় দুপুরের পর থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে এম ইউসুফ আলী সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাড. সাইফুদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কতিপয় সন্ত্রাসী ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পানজুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভিতর ঢুকে বুথ থেকে বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিতে চাইলে পোলিং এজেন্টরা বাধা দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের মারধর করে একটি ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয় ও একটি বাক্স ভেঙে ফেলে।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। ফুলপুরে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, গৌরীপুর, ফুলবাড়িয়া, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল ও গফরগাঁও পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ত্রিশালে বেলা ২টায় স্লোগান দিয়ে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের সামনে কমপক্ষে ২০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নৌকার সমর্থকরা। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনতা তাদের ধাওয়া করে।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনকে সরকারি দলের প্রার্থীর সমর্থকরা মারধর করে তার ব্যবহূত গাড়িটি ভাঙচুর করে। দুপুরে শহরের পিটিআই স্কুল কেন্দ্রে তারা এ হামলা চালায়।

নলছিটিতে কুপিয়ে জখম : নলছিটি পৌরসভার দুটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলেছে। এ সময় দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

কালকিনিতে ব্যালট পেপার ছিনতাই : ব্যালট পেপার ছিনতাই হওয়ায় মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে কাষ্টগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ জোনারদন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা প্রিসাইডিং অফিসারদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে থাকেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।

দাগনভূঞায় বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা : ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী স্বপনের ওপর বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপন অভিযোগ করেন, সকালে উত্তর করিমপুর কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থক ও বহিরাগতরা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন। রাতেই কেন্দ্র দখল করে ফেলা হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

রাঙ্গুনিয়ায় সংঘর্ষ : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর মধ্যম নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী জালাল উদ্দিন ও আনোয়ার আহমদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে পুলিশ ও বিজিবির উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বাঁশখালী পৌরসভায় ব্যালট পেপার ছিনতাই হলে রুহুল্লাহপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব জলদি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জে সংঘর্ষ-গুলি, আহত ১০ : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার দুটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ শটগানের ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ফারুক আহম্মেদ।

বরিশালের ছয় পৌরসভায় কারচুপির অভিযোগ : বরিশাল জেলার ছয় পৌরসভায় কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা এ অভিযোগ করেন। মুলাদী পৌরসভায় ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো. মনজুর হোসেন ও ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. সেলিম আহমেদ চৌকিদারও ব্যালট ছিনিয়ে নৌকা মার্কায় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

লক্ষ্মীপুর : রায়পুর পৌরসভার মার্চেন্টস একাডেমি, রায়পুর স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কেরোয়া ভোট কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা ভোটারদের বাধা দেন। একই সঙ্গে কিছুক্ষণ পরপর অসংখ্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভোটারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে।

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ সদরে দুপুর ১টার পর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে খবর পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানও পাল্টা দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সদর হাসপাতালে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভোটারশূন্য হয়ে পড়ে কেন্দ্রগুলো।

বরগুনা : বরগুনার সদর ও বেতাগীতে দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজসহ সাতজন আহত হন। তাগীতে ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনতাই হয়েছে। এ জন্য পূর্ব বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

সোনারগাঁ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভায় দফায় দফায় বোমা হামলা, সংঘর্ষ, ব্যালট ছিনতাই ও গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হামলায় ওসিসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। জাল ভোট দেওয়ার সময় নয়জনকে গ্রেফতার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শ্রীপুরে ১০ কেন্দ্রে ফের ভোট চায় বিএনপি : নানা অনিয়মে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব হুমায়ুন কবির সরকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে ১০টি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় ভোট গ্রহণের আবেদন করেছেন।

মাটিরাঙায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া : খাগড়াছড়ি  পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হলেও মাটিরাঙায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। মাটিরাঙা পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রের মধ্যে মাটিরাঙা পাইলট হাইস্কুলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামছুল হক ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বাদশাহ মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।

লামায় জাল ভোটের ছড়াছড়ি : বান্দরবানের লামা  পৌরসভায় জাল ভোটের ছড়াছড়ি ছিল। নয়টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর কেন্দ্রে এ চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকে বহিরাগতদের অবৈধ হস্তক্ষেপের কারণে ঘটেছে মারপিট, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। যার মূলে ছিলেন লামা উপজেলার সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা।

বর্জন : ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে দিনের বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বরগুনার আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ, জামালপুর সদরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজুর রহমান বাদশা, দেওয়ানগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূরুন্নবী অপু, নরসিংদীর মাধবদীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম কাইয়ুম, টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিএনপি প্রার্থী শহীদুল ইসলাম সরকার শহীদ, গোপালপুরে বিএনপি প্রার্থী খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, সখীপুরে বিএনপি প্রার্থী নাসির উদ্দিন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আয়নাল হক সিকদার; কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিএনপির প্রার্থী তারিকুল হক তারিক, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকারিয়া জেমস ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এবং খোকসা পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী রাজু আহম্মেদ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলাউদ্দিন পিল্টু; ময়মনসিংহের ভালুকায় বিএনপির প্রার্থী আলহাজ হাতেম খান ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ মফিজ উদ্দিন সরকার, চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির প্রার্থী কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান, রাঙ্গুনিয়ায় মো. হেলাল উদ্দিন খান ও সন্দ্বীপের প্রার্থী আজমত উল্লাহ বাহাদুর, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ফরিদ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ভিপি আবদুর রহিম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী রেজাউল হক, বেলকুচি পৌরসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী নুরুল হক, রায়পুরে বিএনপির প্রার্থী এ বি এম জিলানী, জয়পুরহাটের কালাইয়ে বিএনপির প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান সোহেল, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আনিছুর রহমান তালুকদার এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রভাষক আমিনুল ইসলাম; ধামরাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তার, ভোলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজি, মাগুরায় বিএনপির প্রার্থী ইকবাল আকতার কাফুর; ফেনীর দাগনভূইয়ায় বিএনপির প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান, রাজবাড়ীর পাংশায় বিএনপির প্রার্থী চাঁদ আলী খান, ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপির প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শওকত আকবর ও বিএনপির প্রার্থী এহেসান কুফিয়া; ভৈরব পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী হাজী মো. শাহীন, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জাপার প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী হাজী মো. মন্তাজ মিয়া, স্বতন্ত্র মশিউর রহমান বাবুল ও অ্যাডভোকেট সোহেল ভূঁইয়া।

সর্বশেষ খবর