সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

হীরক রাজার শাসন

ভালুকায় চাচা-ভাতিজার রাজত্ব । রেহাই মেলে না আওয়ামী লীগেরও

সাঈদুর রহমান রিমন

হীরক রাজার শাসন

শিল্পাঞ্চল খ্যাত ময়মনসিংহের ভালুকা এখন ‘বাধাহীন অপরাধ রাজ্য’। সেখানে চলছে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, লুটেরাদের একচ্ছত্র আধিপত্য। এ রাজ্যের রাজাধিরাজ হচ্ছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. এম আমানউল্লাহ। যুবরাজ হিসেবে তারই ভাতিজারা অপরাধ রাজ্যে আধিপত্য বিরাজ করছেন। এমপির চার ভাতিজা ও পৌষ্য ক্যাডাররা দিন দিনই অপরাধ অপকর্মে হিংস্র হয়ে উঠছেন। ওই রাজ্যে শিল্প-কারখানার মালিক থেকে শুরু করে নিরীহ নারী শ্রমিক পর্যন্ত কারও নেই নিস্তার। তবে রাজাধিরাজের সঙ্গে আপস থাকলে সবই দেখা হয় ক্ষমার দৃষ্টিতে। সরেজমিন অনুসন্ধানে এমপির ভাতিজাদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে বিস্তর অভিযোগ। এক ভাতিজা জায়গা-জমি জবরদখলে ব্যস্ত, আরেকজন চালাচ্ছেন চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস। আরেক ভাতিজার বিরুদ্ধে রয়েছে ডাকাতি-লুটপাটের অভিযোগ। অন্যজন ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রণের নামে সবচেয়ে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। সব মিলিয়ে ভালুকায় এমপির অপরাধ রাজ্যে ‘প্রজারা’ অসহায় হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবুল কালামের কাছে শ্রমিক লীগের অফিসের জন্য বিনা টাকায় ৪০ ট্রাক বালু দাবি করেন এমপির ভাতিজা ওলি। বালু না দেওয়ায় কালামকে বেদম মারধর করে ওলির পোষ্য সন্ত্রাসীরা। শুধু তাই নয়, মারধর করে উল্টো কালামের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তের অভিযোগ তুলে দেওয়া হয় থানা পুলিশের হাতে। পরে অবশ্য চিকিত্সকরা মাদকাসক্ত নয় বলে প্রত্যয়নপত্র দিলে থানা থেকে মুক্তি মেলে তার। নির্যাতিত আবুল কালাম বলেন, এমপির ভাতিজা ওলি ও খাজার নেতৃত্বে বিনা পয়সায় বালু না দেওয়ায় প্রকাশ্যে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আরেক অভিযোগে জানা যায়, ভালুকা সদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবদুল মতিনের জমি দখলের চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। গত রমজানে দখলে ব্যর্থ হয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমপির দুই ভাতিজা। তাই ভুক্তভোগী প্রকাশ্যে অভিযোগ দিতেও সাহস পান না। এ ছাড়া গত মাসে টিআর প্রকল্পের অধীনে একটি সমবায় প্রতিষ্ঠানে দুটি সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করায় সংশ্লিষ্টদের নামে চিঠি দেওয়ায় স্থানীয় এমপির উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল আহসান তালুকদারকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন ভাতিজা লুেফ ওয়ালী রব্বানী ওলি ও রওনাক শিহাব রব্বানী খাজা। পরে এ ঘটনায় এমপির ভাতিজারা তত্কালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুল হুদাকে নানা হুমকি-ধমকি দিলে তিনি স্বেচ্ছায় অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান। শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নন, স্বার্থে আঘাত লাগতে পারে এ আশঙ্কায় এলাকায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীও রাখতে নারাজ এমপির ভাতিজারা। তাই তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান সাতিল। শরীরে এখনো বইছেন নির্যাতনের চিহ্ন। কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্যে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাতিলের ওপর হামলা চালায় এমপির ভাতিজাদের নেতৃত্বে ক্যাডাররা। ময়মনসিংহের ভালুকা সদরের সেলামত খাঁ (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীর ইট জোর করে এনে স্থানীয় সরকারদলীয় এমপির ভাতিজা লুেফ ওয়ালী রব্বানী ওলি শ্রমিক লীগের অফিস করার কাজ শুরু করেন। এতে সেলামত খাঁ বাধা দিলে তাকেসহ তার পরিবারের লোকজনকে প্রকাশ্যে ধরে এনে লুেফ ওয়ালী রব্বানী ওলির অফিসে শারীরিক নির্যাতন করে ক্যাডাররা। বাকি না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈশাখী নামে একটি খাবার হোটেল ভেঙে তছনছ করে এমপির ভাতিজা ওলির ক্যাডাররা। মোটা অঙ্কের চাঁদা না দেওয়ায় দীর্ঘদিন বন্ধও থাকে হোটেলটি। অভিযোগ রয়েছে, রব্বানীদের প্রতিপক্ষ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সাতিল ওই হোটেলে আড্ডা দিতেন এমন বাহানা বের করেই দোকানটি বন্ধ করে দেয় রব্বানীদের ক্যাডাররা। অসহায় মালিক অবশেষে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার মাধ্যমে আবার হোটেলটি চালু করলেও সবসময় তাদের থাকতে হয় আতঙ্কে। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান সাতিল জানান, এমপির ভাতিজাদের নেতৃত্বে ডাকাত বাহিনী তার ওপর হামলা চালায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, এমপির ভাতিজাদের অত্যাচার, নির্যাতন ও সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি-ধমকির বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। ইউএনও কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে রেজুলেশনও প্রক্রিয়াধীন। গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘এমপির বেপরোয়া ভাতিজারা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১০ নভেম্বর সড়ক ও জনপথের অবৈধ দখলে থাকা জায়গা উদ্ধারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে লুেফ ওয়ালী রব্বানী ওলি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দোহাই দিয়ে নিজের অবৈধ চেম্বারটি উচ্ছেদে বাধা দেন। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনড় অবস্থানের কারণে ওলি ১৫ দিন সময় দাবি করেন। উপরন্তু পরবর্তীতে চেম্বারটি না সরিয়ে পৌর নির্বাচনের সুযোগ নিয়ে সেখানে আবার টিন লাগিয়ে নতুন করে দখল পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন। জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ডা. আমানউল্লাহ। আর সেই সুযোগে আমানের সংসদীয় আসন ভালুকায় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে তার ভাতিজাদের সাম্রাজ্য। সরকারের বর্তমান মেয়াদে ডা. আমান এখন শুধুই এমপি, কিন্তু তা ভাতিজাদের প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি এমনই অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এমপি আমানের ভাতিজাদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে সরকারের বিষোদগার করছেন দলের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয়রা। সম্প্রতি এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, এক ভাতিজার আশা পূরণে তার নামে সরকারি রাস্তা নামকরণ করে সেটির পাকাকরণ কাজের ভিত্তিফলক উদ্বোধন করেছেন এই এমপি চাচা! স্থানীয়দের অভিযোগ, ভালুকা উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের সরকারি সড়ক বছরের পর বছর ধরে উন্নয়নের আওতায় আসেনি। সেই সড়কের নাম নিজের নামে রাখলে উন্নয়ন করানোর প্রতিশ্রুতি দেন এমপির ভাতিজা খাজা। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী তাই সেই সড়কটির নামফলকে তুলে দিয়েছে এমপির ওই ভাতিজার নাম। সত্যি সত্যিই ‘বহুলী রওনাক জাহান রব্বানী খাজা রোড’ হিসেবে নাম রাখা মাত্রই সেটিতে এমপির সুদৃষ্টি মেলে। সরকারি নাম পাল্টে ভাতিজার নামে রাখা এই সড়কটির পাকাকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং এমপি ডা. আমানউল্লাহ। গত ১৮ আগস্ট উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের বহুলীতে এই সড়কের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। স্থানীয় ধীতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম কামাল বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জানতে পারি, সংসদ সদস্যের ভাতিজার নামে রাস্তা পাকাকরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলার মল্লিকবাড়ি বাজার প্রায় ৫০ লাখ টাকায় ইজারা নেন এমপির ভাতিজা লুেফ ওয়ালী রব্বানী ওলি। কিন্তু রাজস্ব খাতে মাত্র ২২ লাখ টাকা জমা দেন তিনি। বাকি টাকা জমা দিতে বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও এমপির ভাতিজা ওলি সরকারের তহবিলে ইজারার টাকা জমা দিচ্ছেন না। সম্প্রতি ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ব্রিজ বিনা টেন্ডারে কাজ না দেওয়ায় প্রকাশ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেন এমপির ভাতিজা ওলি ও খাজা। এমপির ভাতিজাদের অত্যাচারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এম আমানউল্লাহর উপস্থিতিতে কমিটির নেতা-কর্মীরা এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা করেন। এ প্রসঙ্গে জাতীয় শ্রমিক লীগের ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বলেন, এমপির ভাতিজাদের কাজ হলো— ধরো, মারো, খাও। দলের বর্ধিত সভায় আমিসহ অনেকে এমপির কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ তুলে বক্তব্য রাখলেও প্রতিকার নেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সমাজসেবক নজরুল ইসলাম খান বাবুল বলেন, এমপির ভাতিজাদের অপকর্মের জন্য সরকার ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সরেজমিনে ভালুকা ঘুরে জানা যায়, কিছুদিন আগে তিন চাকার যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে প্রকাশ্যে থ্রি হুইলারের চালকরা মানববন্ধন ও থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করে। আর এর হোতা ছিলেন ‘রব্বানী ভাইয়েরা’। এমপির ভাতিজাদের নানা অপকর্মের জন্য সংগঠনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে দাবি শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের। ভালুকা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম সরকার জানান, এমপির ভাতিজাদের সঙ্গে সুবিধাবাদীদের বিচরণ বেশি। এ ছাড়া সন্ত্রাসীরা গা বাঁচাতে তাদের সেল্টার নেয়। ভালুকা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু জানান, এমপির ভাতিজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক ত্যাগী নেতা বলেন, এমন কোনো সেক্টর নেই যা থেকে বর্তমান এমপির ভাতিজারা সুবিধা নিচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, এমপির ভাতিজাদের দুর্নীতির কথা ভালুকার হাটে-ঘাটে, চায়ের স্টলে খোলামেলা আলোচনা করতে শোনা যায়। কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব বলেন, এমপির ভাতিজাদের অত্যাচারে মানুষজন অতিষ্ঠ। এমনকি প্রায় সময় ভুক্তভোগীরা আমার কাছে তাদের অপকর্মের অভিযোগ জানান।

ভাতিজাদের মুখ খোলা, চাচার মুখে তালা : এসব অভিযোগের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এমপির ভাতিজারা মুখ খুললেও চাচা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. আমানউল্লাহর মুখে তালা মারা রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেও নারাজ। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাপারেও তিনি কথা বলতে নারাজ। ত্রাসের রাজত্বে চলমান অপরাধ অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে ডা. এম আমানউল্লাহর ভাতিজা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রওনক শিহাব রব্বানী খাজা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী অভিযোগ করেন, তাহলে লিখতে পারেন। তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অসত্য।’ মুঠোফোনে এমপির আরেক ভাতিজা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি লুেফ ওয়ালী রব্বানী ওলি দাবি করেন, ‘তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভুয়া। চাচা ডা. এম আমানউল্লাহর  বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে একটি মহল।’ একই অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয় এমপির অপর ভাতিজা রিদুয়ান সারোয়ার রব্বানীর সঙ্গে। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘এলাকার মানুষ তার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করতেই পারেন না। কারণ, তিনি কোনো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নন।’ ডাকাতি মামলায় হাজত খাটার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সেই সময় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে আটক করে মিথ্যা ডাকাতি মামলা দেওয়া হয়।’ স্থানীয়রা তাকে কেন ‘ব্রিটিশ’ নামে ডাকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিশুকালে তিনি খুব দুষ্ট ছিলেন। তাই তার দাদি এই নাম দেন।’ ভাতিজাদের দখল ও সন্ত্রাসের ব্যাপারে জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. এম আমানউল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অপর প্রান্ত থেকে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানানো হয়। পরে গত শনিবার এমপির এপিএস শফিক মোবাইল ফোনে জানান, ‘স্যার একটা কর্মসূচিতে ব্যস্ত আছেন। তা ছাড়া তিনি ভালুকার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন না।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর