সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হবে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হবে : অর্থমন্ত্রী

জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘জ্বালানি তেলে যে লোকসান (ক্ষতি) দেওয়া হয়েছে, তা সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এখন দাম কমানোর বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। মন্ত্রিসভা যদি সম্মতি দেয় তাহলে হয়তো জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।’

গতকাল সচিবালয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমা-বাড়ার সঙ্গে বাংলাদেশের তেলের দাম সমন্বয় নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নির্দিষ্ট করার কোনো পলিসি নেই। তবে আমরা সেটি করার চেষ্টা করছি। আশা রাখি একটা কিছু হবে। তার আগে আমি বলতে পারব না। কারণ সর্বোচ্চ পর্যায় এতে সংযুক্ত আছে।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি একটা স্টেটমেন্ট নিয়েছি। তাতে বেশির ভাগই কাভার হয়েছে। আমি পরশু একটা স্টেটমেন্ট পেয়েছি তাতে কাটাকাটি হয়ে গেছে। সুতরাং আমাদের এটি দরকার আছে, সময় লাগবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) একটা ধারণা দিতে হবে।’ কতটা কাভার করা হয়েছে ভুর্তকির, আর কত ভাগ সমন্বয় হয়েছে— জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, ‘এই মুহূর্তে বলতে পারা যাবে না। সময় লাগবে।’ তেলের দাম কত কমবে আর কমালে কী প্রভাব পড়বে— এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দাম নির্ধারণ করি দুটি পদ্ধতিতে। তাই নিজেরাই রেশনাইজ করতে চাই— আমরা কোথায় যাব।’

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন নবনির্বাচিত এমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সহ-সভাপতি আক্তার মতিন চৌধুরী, সদস্য এসকেএফ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিমিন হোসেন, পিকার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, আইসিই টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবায়েত জামিল, ব্যবসায়ী নেতা ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও এইচএসবিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্রাঙ্কোয়েস ডি মেরিকোর্ট।

‘তাদের আন্দোলন নাথিং’: অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো নিয়ে নাখোশ শিক্ষকরা। তারা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ তারা আন্দোলনে যাচ্ছেন। আমি সব সময়ই বলি, তারা খুব রিস্কি ডিসিশন নেন। শিক্ষার বিজ্ঞপ্তি তারা। কিন্তু তারা কী করছেন? নাথিং, এবসিলিউটলি নাথিং। আপনারা (শিক্ষকরা) শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য কী আন্দোলন করছেন? তাদের এই আন্দোলন নাথিং। শিক্ষকরা বেতন কাঠামো সম্পর্কে না জেনেই আন্দোলন করছেন। যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে, সেই কাঠামো অনুযায়ী তারা কী পাচ্ছেন, কী পাচ্ছেন না— তা না জেনেই তারা (শিক্ষকরা) আন্দোলন করছেন। তাদের এই আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এখানে নতুন করে সমাধান দেওয়ার কিছুই নেই।’ আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। যদি শিক্ষকরা শাটডাউনে যান, তাহলে সরকার কী করবে— জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেখি না, তারা কতটুকু যেতে পারেন।’ সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে আমরা লম্বা সময় নিয়ে সুদের হার পরিবর্তন করতাম। কিন্তু এখন আর তা করি না। এখন আমরা দুই-তিন মাস পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিই। ছয় মাসেও নেওয়া হয়।’

সর্বশেষ খবর