শিরোনাম
বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

পাঁচ খুন নিয়ে এখনো রহস্য

নাজমা পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

পাঁচ খুন নিয়ে এখনো রহস্য

নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকায় আলোচিত পাঁচ খুনের ঘটনা এখনো রহস্যে। গ্রেফতার এজাহারনামীয় আসামি নাজমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। গতকাল নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে তাকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে আসামি নাজমা বেগম ও তার মেয়ে শাহিনা আক্তারকে শরীয়তপুরের ডামুড্যা থেকে আটক করে পুলিশ। সোমবার রাতে ডামুড্যা থানা পুলিশের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. শাহজালাল তাদের গ্রেফতার করেন। নাজমা বেগম ডামুড্যা উপজেলার চর সিঁধলকুড়া গ্রামের শওকত শাহজাহানের স্ত্রী। রাতেই তাদের নারায়ণগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ মো. আশরাফুল আমিন জানান, নারায়ণগঞ্জের পাঁচ খুন মামলার সন্দেহভাজন দুই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের তাত্ক্ষণিক নারায়ণগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পাঁচ খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ ডিবির ওসি মামুনুর রশীদ মণ্ডল জানান, শরীয়তপুর থেকে মামলার এজাহারনামীয় আসামি নাজমাকে আটকের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। নাজমা এজাহারনামীয় অপর আসামি শাহজাহানের স্ত্রী। নাজমার মেয়ে শাহিনাকে আটকের বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে ডিবির ওসি জানান, এখনো বলার মতো কিছু হয়নি। তদন্তাধীন অবস্থায় কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। রিমান্ডে নেওয়া ভাগ্নে মাহফুজ ও পাওনাদার নাজমাকে জিজ্ঞাসাবদ চলছে। রিমান্ড শুনানিতে আসামি নাজমা আদালতকে বলেন, তাসলিমার কাছে তার টাকা পাওনা ছিল এটা সত্য। তবে তিনি তাকে হত্যা করেননি। কারণ হত্যা করলে তিনি তার পাওনা টাকা ফেরত পাবেন না। এর আগে সোমবার ভাগ্নে মাহফুজ রিমান্ড শুনানিতে আদালতকে বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। আমাকে পুলিশ শুধু শুধু মারধর করছে।’ উল্লেখ্য, নিহত তাসলিমার স্বামী মামলার বাদী মো. শফিক এজাহারে পাঁচ খুনের জন্য তার ভাগ্নে মাহফুজ, পাওনাদার নাজমা ও শাহজাহানকে সন্দেহ করেন বলে উল্লেখ করেন। ভাগ্নে মাহফুজ এ হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন আগে তার মামি হত্যার শিকার লামিয়াকে কুপ্রস্তাব দিয়ে ঘরোয়া সালিশে জুতাপেটার শিকার হয়েছিলেন। সে সময় মাহফুজ ‘সবাইকে দেখে নেবে’ বলে হুঙ্কারও দেন। আর পাওনাদার নাজমা ও শাহজাহান পাওনা টাকা আদায়ে তাসলিমাকে প্রায় সময়ই প্রাণনাশের হুমকি দিতেন বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন। এদিকে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, শরীয়তপুর থেকে নাজমার সঙ্গে তার স্বামী শাহজাহানকেও আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহত লামিয়ার স্বামী শরিফুল ইসলামকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর