শিরোনাম
বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
চলমান রাজনীতি

কেন্দ্রের আগে তৃণমূলে নজর আওয়ামী লীগের

রফিকুল ইসলাম রনি

কেন্দ্রের আগে তৃণমূলে নজর আওয়ামী লীগের

পৌরসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর এবার তৃণমূলে নজর দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মাঠপর্যায়ে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে মনোনিবেশ করেছে দেশের প্রাচীন দলটি। আগামী ২৮ মার্চ জাতীয় কাউন্সিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগেই দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোয় সম্মেলন শেষ করতে চান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এ জন্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রমতে, দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুতের পাশাপাশি আগামীতে প্রধান রাজনৈতিক পতিপক্ষ বিএনপি যেন মাঠের রাজনীতিতে সুবিধা করতে না পারে এ জন্য তৃণমূলকে সুসংগঠিত করতে চান হাইকমান্ড। এখন রাজপথে বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলা করতে হচ্ছে না ক্ষমতাসীন দলকে। অন্যদিকে আগামী মার্চে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে দলটির নেতা-কর্মীদের। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বড় কর্মসূচি না থাকায় জেলা সম্মেলন শেষ করার উপযুক্ত সময় মনে করছেন দলের নীতি নির্ধারকরা। জানা গেছে, বিগত দুই বছরের কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সবকটি জেলা সম্মেলন করতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্তরা। দলের ৭৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ১১টি চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, শয়ীতপুর, ফরিদপুর, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর, কুমিল্লা দক্ষিণ, কক্সবাজার, বরিশাল বিভাগের ভোলা, রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ চলছে দীর্ঘদিনের পুরনো কমিটি দিয়ে। গত রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাসায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বৈঠক করেন। বৈঠকে বেশ কয়েকটি জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে আগামী ২৭ জানুয়ারি চাঁদপুর, ২৮ জানুয়ারি কক্সাবাজার ও ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লা দক্ষিণ, ১৯ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ, ২৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা, ২৭ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলোর সম্মেলন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ করা হবে। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, গত বছরের প্রথম তিন মাস বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে দেশে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, তা মোকাবিলা করার জন্য সংগঠনের কাজে তেমন সময় দিতে পারেনি আওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হলে জেলা সম্মেলন শুরু করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা সম্মেলন করার টার্গেট থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনের কারণে স্থগিত করা হয়। পৌর নির্বাচন শেষে এখন পুরোদমে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করে দলে গতি ফিরিয়ে আনার জন্য আবারও সাংগঠনিক কাজে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, গত রবিবার দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাসায় বৈঠকে বেশ কিছু জেলা সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৯ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ, ২৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনা, ২৭ ফেব্রুয়ারি শরীয়তপুর জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূলকে চাঙ্গা করাই আমাদের লক্ষ্য। বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বরিশাল বিভাগের সাত জেলার মধ্যে দুটি জেলা সম্মেলন বাকি ছিল। আগামী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই ভোলা জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে গাইবান্ধা জেলার সম্মেলন করা হবে। ইতিমধ্যে জেলার নেতৃবৃন্দকে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর