বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

পুলিশ বাহিনীতে যেন জামায়াত-শিবির ঢুকতে না পারে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ বাহিনীতে যেন জামায়াত-শিবির ঢুকতে না পারে : প্রধানমন্ত্রী

পুলিশ বাহিনীতে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের লোক পুলিশ বাহিনীতে ঢোকার ব্যাপারে সচেতন হবে, এটাই আমি আশা করি। যারা আগুন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কার্যকলাপে লিপ্ত তারা যেন একটা সুশৃঙ্খল বাহিনীতে আসতে না পারে। এটা দেখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। তিনি পুলিশ বাহিনীতে যাতে সন্ত্রাসী-জঙ্গিরা নিয়োগের  সুযোগ না পায় সে বিষয়ে এমপিদের সহযোগিতা চান। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকাতে এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, একের পর এক মানুষ হত্যা, বাস-ট্রাক ও প্রাইভেট গাড়িতে  আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো, এমনকি রিকশা-অটোরিকশা তাদের হাত থেকেও রেহাই পায়নি। সেই সঙ্গে পুলিশও রেহাই পায়নি। পুলিশকেও তারা মেরেছে, পুড়িয়েছে, আগুন  দেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই পুলিশ বাহিনীতে যখন লোক গ্রহণ করবে, এখানে দায়িত্বে থাকে পুলিশ বাহিনীর অফিসাররা। আমি মনে করি, তাদের (পুলিশ কর্মকর্তা) এ কথাগুলো স্মরণে থাকা উচিত যে, এই জামায়াত-বিএনপি তাদের (পুলিশ) ওপর কী অত্যাচার করেছে। প্রায় ১৮-১৯ জনের মতো পুলিশকে হত্যা করেছে। এই বিষয়টি মনে রেখে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের সতর্ক থাকার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় যারা আগুন সন্ত্রাসে জড়িত ছিল তারা পুলিশ বাহিনীতে ঢুকে থাকলে কিংবা ঢোকার চেষ্টা করলে সে খবর গোয়েন্দা সংস্থার হাতে দিলে নিশ্চয়ই তারা (গোয়েন্দা সংস্থা) বিষয়টি যাচাই করে দেখবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

‘জয় কী করবে তার ওপর নির্ভর করে’ : জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের (ময়মনসিংহ-৮) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয় ভবিষ্যতে কী করবে এটা সম্পূর্ণ তার ওপর নির্ভর করে। সে কিন্তু আমাদের সহযোগিতা করছে। আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ করছি সেখানে ডিজিটাল শব্দটি শুরু করে যতটুকু অর্জন তার পরামর্শ মতেই হচ্ছে’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েছি। তাদের একটি কথাও বলেছি। তোমাদের কোনো সম্পদ দিতে পারব না। তোমাদের একটি বড় সম্পদ যত পার শিক্ষা গ্রহণ কর। ওটাই তোমাদের জীবন-জীবিকা তৈরি করে দেবে। আর তাদের জীবনের ভবিষ্যৎ তারা নিজেরাই ঠিক করবে। এ দায়িত্ব তাদের নিজের ওপরই ছেড়ে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘সে (জয়) কিন্তু জনগণের জন্য সেবা ও সাহায্য করছে। সে কিন্তু কোনো কিছু পাওয়ার আশা বা নিতে আসেনি। সে যতটুকু পারছে দিচ্ছে। এটা তাকে ‘জয়-বাংলা’ স্লোগানের প্রেরণাই উদ্দীপ্ত করছে দেশের  সেবা করতে। আর তার পথ সে নিজে দেখবে।’ সম্পূরক প্রশ্নে ফখরুল ইমাম বলেন, ‘জয়-বাংলা’ দুটি শব্দ এবং ‘প্রথম’ শব্দটি নিয়ে আপনি কী চিন্তা-ভাবনা করছেন? পাশাপাশি পুরুষের অধিকার নিয়ে উনি কী চিন্তাভাবনা করছেন? প্রশ্নকর্তার এসব প্রশ্ন শুনে অধিবেশনের সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন  চৌধুরী বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য আপনার প্রশ্ন তো সম্পূরক নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনার ঘরে উনি যে উনার বউকে এত ভয় পান এটা আমরা জানতাম না। তবে ভাগ্য ভালো উনি উনার ঘরে পুলিশি পাহারার কথা বলেননি। এ সময় সংসদে হাস্যরোলের সৃষ্টি হয়। ফখরুল ইমামকেও হাসতে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর