রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছে সরকার

—প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবক্ষেত্রেই নারীরা দক্ষতার পরিচয় দিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে নেতৃত্ব গড়ে তুলতে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। সমাজে তৃণমূল থেকে একটা বিবর্তন এলো যে নারীদের অবহেলা করা নয় তাদের সমাজে একটি স্থান হবে। ঠিক এভাবে আমরা এই অচলায়তন ভেঙে নারীসমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মেয়েদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। গতকাল বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নবনির্মিত কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘নারী অধিকার-শতাব্দীর অঙ্গীকার’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে মহিলা সমিতির নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করা হয়।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই। সেজন্য নারী এবং পুরুষ দুজনকেই এগিয়ে নিতে হবে। পুরুষশাসিত সমাজে প্রতিবন্ধকতা তো আসেই। সেগুলো অতিক্রম করেই আমাদের চলতে হবে। নিজেদের অধিকার নিজেদেরই আদায় করতে হবে। আর সেটা তখনই হবে যখন আমরা আমাদের মেয়েদেরকে আরও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারব।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলা সমিতি বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই সমাজসেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে মহিলা সমিতির উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি জরুরি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ভালো নাটক করার মতো কোনো অডিটোরিয়াম নেই। আমি সবসময় এখানে একটি ভালো অডিটোরিয়াম গড়ে তুলতে উৎসাহ দিয়ে আসছি। তিনি বলেন, টাকা-পয়সা কোনো বড় ব্যাপার না। এখান থেকে আমাদের নারী ও শিশুরা সেবা পাবে ও আমাদের সংস্কৃতি চর্চার জায়গা হবে এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আগে তো অনেক কষ্ট করে নাটক দেখতে হতো। এখন মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা, সাংস্কৃতিক চেতনা বেড়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচবে। তিনি বলেন, থিয়েটারের প্রতি আমার আগ্রহ আছে। আগে আমি প্রায়ই থিয়েটারে নাটক দেখতাম। এখনো দেশের বাইরে গেলে থিয়েটারে নাটক দেখি। দেশের বাইরে থিয়েটারে দেখেছি মঞ্চে হেলিকপ্টার নামে, গাড়ি আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশে সেই মানের থিয়েটার নেই। আমি মনে মনে অত্যাধুনিক থিয়েটার নির্মাণের জন্য একটা জায়গা ঠিক করে রেখেছি। পদ্মা সেতুর পাড়ে একটি অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ করা হবে, সেখানেও এই থিয়েটার হতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে এবং আধুনিকায়নে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে বঙ্গবন্ধু নারীদের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। সে ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারও নারীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারীরা দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। সমাজকল্যাণ সচিব চৌধুরী বাবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন— সমাজকল্যাণ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভাপতি সিতারা আহসানউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদিকা তানিয়া বখত।

সাড়ে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাঁচ তলা ভবনটির মিলনায়তনে ৪১২টি আসন রয়েছে। ভবনটিতে দুটি পূর্ণাঙ্গ মিলনায়তন, অত্যাধুনিক কনফারেন্সও রয়েছে।

সর্বশেষ খবর