বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

পাকিস্তান বলেই আজ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মেজবাহ্-উল-হক

পাকিস্তান বলেই আজ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

ভর দুপুরে উইকেটের পাশে দাঁড়িয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা, চন্ডিকা হাতুরাসিংহে, গামিনি সিলভা ও খালেদ মাহমুদ সুজন। তীব্র রোদে ঘামে ভিজে যাচ্ছে সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, কোচ, কিউরেট ও ম্যানেজারের। একাগ্রচিত্তে আলোচনায় ব্যস্ত বাংলাদেশ দলের চার মহারথী! তারা যে উইকেট নিয়েই কথা বলছিলেন, তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না! আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রুসিয়াল ম্যাচ। জিতলেই ফাইনাল! মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকবে উইকেটের। আজকের ম্যাচে উইকেট কি সবুজ থাকবে নাকি আগের মতো ব্যাটিং সহায়ক হবে!  শেরেবাংলার উইকেটে সব সময়ই বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন পাকিস্তানি বোলাররা। উইকেটের অতিরিক্ত মুভমেন্ট পাক বোলারদের ভীষণ পছন্দ। ধর্মশালার ( যেখানে টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড খেলবে বাংলাদেশ) উইকেটের কথা চিন্তা করে এশিয়া কাপে জন্য উইকেটে রাখা হয়েছে সবুজ ঘাস। আর এতে পাকিস্তানি বোলারদের জন্য স্বর্গরাজ্য হয়ে  গেছে। পাকিস্তানি পেসাররা বোধহয় এমন উইকেট তাদের দেশের মাটিতেও পায়নি। কিন্তু আজকের ম্যাচে দেখা যেতে পারে ভিন্ন উইকেট! সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ইনজুরিতে পড়ায় বাংলাদেশের পেস আক্রমণ দুর্বল হয়ে গেছে অনেকখানি। পাশাপাশি তামিম ইকবালের অন্তর্ভুক্তি ব্যাটিংয়ে শক্তিমত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। বিপিএলের পর সম্প্রতি পাকিস্তান টি-২০ লিগেও আগুনের ফুলকি বেরিয়ে ড্যাসিং ওপেনারের ব্যাট  থেকে। সদ্য পুত্র সন্তানের জনক হওয়ায় তামিমের মেজাজও ফুরফুরে। অন্যদিকে পাকিস্তানের বোলিং লাইন-আপ যতটা শক্তিশালী ব্যাটিংয়ে তারা ততটাই দুর্বল! সে কারণে টিম ম্যানেজমেন্টও চাইবে না এমন সময় সবুজ ঘাসের উইকেটে খেলে ম্যাচটা পাকিস্তানকে উপহার দিতে। তাই আজ মিরপুরে চিরচেনা সেই স্পিন নির্ভর ধীরগতির উইকেটই দেখা যেতে পারে। যেখানে ব্যাটসম্যানরাও বাড়তি সুবিধা পাবেন। কাল দলে চার পেসারের জায়গা একজন কমিয়ে নেওয়া হতে পারে স্পিনার আরাফাত সানিকে। তবে উইকেট কেমন হবে সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা। তা নিয়ে যেন বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই ক্রিকেটারদের। তারা বরং নিজেদের সেরটা উজাড় করে দেওয়ার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন। ‘খেলার সঙ্গে রাজনীতি মেশাবেন না’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের স্ট্যাটাসেই কথাটি লেখা থাকে। বিশেষ করে পাকিস্তান প্রসঙ্গে। তবে খেলাকে তো ‘যুদ্ধ’ বলাই হয়! শুধু বারুদের গন্ধ থাকে না এই যা! তাছাড়া যুদ্ধের সব উপকরণই  তো থাকে মাঠে। আর স্বাধীনতার মাসে প্রতিপক্ষ যখন পাকিস্তান তখন চিন্তা না করলেও ম্যাচে আবেগের বিষয়টি চলে আসে। তাছাড়া দিনটিও ঐতিহাসিক ২ মার্চ। এই দিনেই স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বের লাল-সবুজ পতাকাটি প্রথম উত্তোলন করা হয়েছিল। তারপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। আজ মহান পতাকা দিবসে খেলার মাঠে সেই পাকিস্তানকে আরেকবার হারিয়ে দিক মাশরাফিরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর