স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কঠিন পেশা হিসেবে গণমাধ্যমে নারীর উপস্থিতি ঈর্ষণীয়। সেখানে নারীরা যে সাহসিকতা ও দক্ষতা দেখাচ্ছেন, এতে প্রমাণ হয় নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে নারী নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই পরিবর্তন করতে পারে। এ পেশার নারীরা যে ধরনের পরিবেশে কাজ করছেন তাকে সংকটময় বলা যাবে না। কিন্তু পুরুষের সমানতালে সব জায়গায় নারীরা এগিয়ে আসতে পারেননি। অন্যান্য পেশার মতো এ পেশায়ও নারীদের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। রাজধানীতে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘গণমাধ্যম ও নারীর বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি। সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর নারীবিষয়ক সম্পাদক সুমি খান। গণমাধ্যমে নারীর অবস্থান তুলে ধরেন সাংবাদিক নাদিরা কিরণ। স্পিকার বলেন, ‘আমি নারী, এতে আমি গর্বিত। আমি মা তা নিয়েও গর্বিত। তবে শুধু নারী হিসেবে কেউ বৈষম্য করলে তাতে অবশ্যই আপত্তি আছে।’ তিনি বলেন, ‘নারী ও পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক। কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। এমন পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলার মাধ্যমেই সমাজ ও রাষ্ট্র আরও বেশি শক্তিশালী হবে। নারীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব থাকলে শক্তিশালী সমাজ নির্মাণ করা সম্ভব নয়। নারীদের সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’ মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি নারীদের জন্য সাংবাদিকতাকে একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এ পেশায় কাজ করার জন্য পরিবার ও কর্মক্ষেত্র থেকে নারীদের সহায়তা করতে হবে।’