বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় এবার বস্তায় শিশুর লাশ

দুই ভাইয়ের ‘খুনি’ গ্রেফতার

কুমিল্লা ও মনোহরগঞ্জ প্রতিনিধি

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা সদরে এবার রিয়াদ হোসেন (৯) নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৭টার দিকে উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজারের পুব পাশে রাজের গড় নামক স্থানের একটি পরিত্যক্ত দোকানের পাশ থেকে ওই শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু রিয়াদ উপজেলা সদরের দিশাবন্দ পশ্চিমপাড়ার হোটেল কর্মচারী খোকন মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় দিশাবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ, স্থানীয় ও রিয়াদের পরিবার সূত্র জানায়, রিয়াদ হোসেন সোমবার রাতে নিখোঁজ হয়। গতকাল সকাল ৭টার দিকে মনোহরগঞ্জ বাজারের পুব পাশে তার বস্তাবন্দী লাশ দেখতে পায় বাজারে আসা লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর পিতা খোকন মিয়া জানান, ‘সোমবার রাত ১১টার দিকেও রিয়াদকে বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখেছি। তবে রাতে বাড়ি গিয়ে দেখি রিয়াদ নেই। এর পরই আমরা বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করি। সকালে বাজারের পাশে গিয়ে দেখি বস্তাবন্দী লাশটি আমার ছেলের।’ তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে শত্রুতাবশত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় খোকন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। দুই কিশোরকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।

দুই শিশুকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা : কুমিল্লা নগরীর ঢুলিপাড়ায় দুই শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সৎ ভাই আল সফিউল ইসলাম ছোটন গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, সে একাই দুই শিশুকে রশি দিয়ে বেঁধে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার পর আত্মগোপন করে। গতকাল কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানান, মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ছোটনের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই মো. শাহ কামাল আকন্দসহ পুলিশের একটি দল সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ টুইন টাওয়ারের সামনে থেকে ছোটনকে গ্রেফতার করে। ছোটন আরও জানায়, তার পিতা মুদি ব্যবসায়ী আবুল কালাম ১০ বছর আগে আরও একটি বিয়ে করেন। তার পিতা এবং সৎ মা তাদের প্রতি খারাপ আচরণ শুরু করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর