শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

জিএসপির শর্ত কেয়ামত পর্যন্ত পূরণ হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিএসপির শর্ত কেয়ামত পর্যন্ত পূরণ হবে না

যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে না দেওয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও মার্কিন শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করতে পারবে না বলে তার ধারণা জন্মেছে। গতকাল সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি ফিরে পেতে যেসব করণীয় ছিল তার সবই করা হয়েছে। আমাদের আর কিছু করণীয় নেই।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কারখানাগুলো এখন রি-মডেল হচ্ছে। ফায়ার সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি, স্ট্রাকচারাল ইন্টেগ্রিটি অব বিল্ডিং সবকিছু আধুনিক হচ্ছে। আমাদের এখানে যারা ব্যবসা করেন, শ্রম নিরাপত্তায় তারা প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন। এ কারণে রানা প্লাজা ধসের পর প্রায় তিন বছর চলে গেলেও এর মধ্যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘পরিদর্শনের পর কিছু কারখানা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেগুলো আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। এতে আমাদের ৫০ হাজার শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু যারা ক্রেতা তারা এখন সন্তোষ প্রকাশ করছেন, আমাদের কোনো কারখানাই ঝুঁকিপূর্ণ নয়।’ সব শর্ত পূরণের পরও কেন জিএসপি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না—এমন প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এর উত্তর বার্নিকাট (ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত) দিয়েছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। আরও উন্নতি দরকার। সেই উন্নতিটা কী? আমাদের ইপিজেডে আমরা যে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন করেছি, সেখানে সবকিছুই আছে। ১০-১৫ হাজার টাকার কমে কেউ বেতন পান না। শ্রমিকদের তরফ থেকে কোনো অভিযোগ নেই।’ মন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং তথাকথিত ট্রেড ইউনিয়ন, কিছু শ্রমিকনেতা, যারা কোনো কারখানায় কাজ করেন না, কোনো কারখানার শ্রমিক নন, এই শ্রমিক নামটা তাদের ব্যবসা। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দূতাবাসের যোগাযোগ আছে। তারা কার্যত দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তবে এর পরও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতি ঠেকানো যাবে না মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমেরিকাসহ ১০-১২টা দেশ টিপিপি করছে। এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। আমাদের প্রতিযোগিতা বাড়বে। তৈরি পোশাক খাতকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাব। ২০৫০ সালের মধ্যে আমরা যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির টার্গেট করেছি, সেখানে পৌঁছাব।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে পরবর্তী ধাপে উন্নীতও হই, তাহলে আমাদের স্ট্যাটাস কী হবে, সেটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনই আমাদের ফেভারে চিন্তা করতে শুরু করেছে।’ স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের সহযোগিতায় আমরা এ পর্যন্ত এসেছি।

সর্বশেষ খবর