শিরোনাম
শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

যেভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি হত্যা, সন্ত্রাস ও পেট্রলবোমার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে ফিরবে এমন প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাদের মতে বাংলাদেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও পেট্রলবোমার রাজনীতি মানুষ পছন্দ করে না। মানুষ উন্নয়ন চায়। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকুক তা চায়। এ জন্য উন্নয়নের রাজনীতি ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। কিন্তু বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় ক্ষমতায় যেতে মানুষ হত্যার রাজনীতি ও নির্বাচন বর্জন করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বড় রাজনৈতিক দল হলেও জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে সেই গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরবে এমন প্রত্যাশা আওয়ামী লীগ নেতাদের। তবে সম্মেলনের আগেই দলের চেয়ারপারসন ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করায় তীব্র সমালোচনাও করেন ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা। তবে বিএনপির আজকের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিনিধি যাচ্ছেন না। বিএনপির পঞ্চম সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অসীমকুমার উকিলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হলেও এবারের সম্মেলনে প্রতিনিধিদল না পাঠানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দলই না। তাদের কাছে আবার প্রত্যাশা কী? যে দলটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, গণতান্ত্রিক রাজনীতি ছেড়ে হত্যার রাজনীতি করে এবং সম্মেলনের আগেই নেতা নির্বাচিত করে, তাদের কাছে কোনো প্রত্যাশা থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না।’ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আওয়ামী লীগ ও দেশবাসী প্রত্যাশা করে সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপিতে আগামীর যে নেতৃত্ব আসবেন, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ মারার রাজনীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসবেন। তিনি বলেন, দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের গঠণতন্ত্রে না থাকলেও সম্মেলনের আগেই চেয়ারপারসন ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে বিএনপি ইতিমধ্যে একটি অনিয়ম করে ফেলেছে। সম্মেলনের নিয়ম হচ্ছে, কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আসবেন, তারা ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলে প্রথমে সমঝোতার চেষ্টা না হলে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে। কিন্তু এর কোনোটই করা হলো না, যা দুঃখজনক। সম্পাদকমণ্ডলীর আরেকজন সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আগুনসন্ত্রাস করে জনগণের সমর্থন যে পাওয়া যায় না বিএনপি তা অনুধাবন করতে পেরেছে। আমি আশা করি বিএনপিতে এখনো অনেক ভালো মানুষ আছেন, যারা আগুনসন্ত্রাস পছন্দ করেন না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন। সম্মেলনের মাধ্যমে আগুনসন্ত্রাসের পক্ষের লোকদের বাদ দিয়ে নতুন মেধাবী নেতৃত্ব নির্বাচিত করে গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে ফিরবে।’

সর্বশেষ খবর