পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার নাম ফাঁস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে এরই মধ্যে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গুনলাগসন পদত্যাগ করেছেন। অফশোর কোম্পানিতে শেয়ার ছিল স্বীকার করে বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। বিশ্বজুড়ে এই তোলপাড়ের মধ্যে গতকাল ফনসেকার এল সালভেদরের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে তদন্তকারীরা।
বিবিসি জানায়, তদন্তকারীরা ট্যুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, এল সালভাদরে মোসাক ফনসেকারের এই শাখা থেকে বিভিন্ন নথি ও কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি পানামার একটি ল’ ফার্মের এক কোটি ১০ লাখ গোপন নথি ফাঁস হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কোন কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ছেন বেরিয়ে আসছে সেই তথ্য। চলতি সপ্তাহে গণমাধ্যমে আসা মোসাক ফনসেকারের এসব নথিতে কেবল রাজনীতিবিদ নয়, ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, বিশ্বখ্যাত ফুটবলার, বলিউড তারকাসহ অনেকেরই গোমর ফাঁস হয়ে গেছে। ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কোন কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ছেন— সে তথ্য বেরিয়ে এসেছে এসব নথিতে। এল সালভাদরের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, কার্যালয়টি থেকে মোসাক ফনসেকার চিহ্ন একদিন আগেই অপসারণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মীর সূত্রে জানা যায়, ফার্মটি এখান থেকে চলে যাচ্ছে। এল সালভাদরের অ্যাটর্নি জেনারেল ডগলাস মেলেনদেজ এই অভিযান তত্ত্বাবধান করেন। মোসাক ফনসেকার এই শাখা থেকেও বিশ্বব্যাপী তাদের ক্লায়েন্টদের সার্ভিস দিতে সক্ষম ছিল। এল সালভাদরের স্থানীয় একটি পত্রিকায় বলা হয়েছে, দেশটির নাগরিকরা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই মোসাক ফনসেকারকে ব্যবহার করে গোপনে সম্পদ ক্রয় করত। তবে কোনো ধরনের বেআইনি কাজ করেনি বলে দাবি করেছে ফার্মটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে এ ঘটনায় নাম আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বিবিসি।