রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাঁশ দিয়ে সরকারি দালান নির্মাণ চুয়াডাঙ্গায়

তদন্ত শুরু

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

বাঁশ দিয়ে সরকারি দালান নির্মাণ চুয়াডাঙ্গায়

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশের কাবারি দিয়ে ঢালাই কাজ করা হয়েছে। খোয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে পরিত্যক্ত সুরকিসহ নিম্নমানের উপকরণ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-মহাপরিচালক সৌমেন সাহার নেতৃত্বে তদন্ত দল তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার পিছনে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ শেষে গত বছরের ১ ডিসেম্বর ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সঙ্গনিরোধ কেন্দে র নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়। বুধবার বিকালে এলাকার কয়েকজন যুবক ভেতরে গিয়ে দেখতে পান, রডের সঙ্গে বাঁশের কাবারি দিয়ে ঢালাই কাজ করা হচ্ছে। ভবনের শো-পিলারের ঢালাইকাজে দেখা যায় ব্যবহূত রডের তৈরি খাঁচায় এক একটি রডের পর ৩ থেকে ৪টি করে বাঁশের কাবারি ব্যবহার করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, ভবন নির্মাণকাজ শুরুর আগেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার জয় কনস্ট্রাকশন সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ করে। সীমানা প্রাচীরের ভেতরে অনেকটা গোপনেই চলছিল ভবনের নির্মাণকাজ। ইতিমধ্যেই দ্বিতল ভবনেরও অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণ কাজের বিবরণ সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগানোর নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। ভবন নির্মাণে নিম্নমানের ইট, বালি ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক নির্মল কুমার দে, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুফি মো. রফিকুজ্জামান নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে যাওয়া কর্মকর্তারা অভিযোগের সত্যতা পান। বিষয়টি কৃষি বিভাগের ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পর ওই ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত দল। গতকাল তদন্ত দলের প্রধান বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপমহাপরিচালক সৌমেন সাহা সাংবাদিকদের জানান, তদন্তকাজ চলছে। প্রাথমিক পর্যায়েই কাজে অনিয়মের প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে জানানো সম্ভব হবে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, ভবনের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় ইতিমধ্যেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত দলের প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক নির্মাণ কুমার দে বলেন, কাজে দুর্নীতির বিষয়টি ধরা পড়েছে। তদন্তকাজ শেষে ভবন নির্মাণ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর