রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

ব্লগারদেরও হতে হবে সংযত

আকতারুজ্জামান

ব্লগারদেরও হতে হবে সংযত

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ব্লগাররা ধর্ম সম্পর্কে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রতিআক্রমণ ও হিংসার জন্ম দিচ্ছে। এ জন্য ব্লগারদের সংযত আচরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যদের উচিত হবে ব্লগারদের আক্রমণাত্মক বক্তব্য উপেক্ষা করা। অপরদিকে, উগ্রবাদীদের হত্যাও কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটা চলতেও দেওয়া যায় না— এসব কথা বলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, ব্লগাররা যা লিখছে সেটিও ঠিক বলে আমি মনে করি না। কারণ কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া  ঠিক নয়। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দেওয়া ব্লগারদের বক্তব্য, মতামত উপেক্ষা করাই যুক্তিযুক্ত। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহমেদ শরীফও লেখালেখিতে সরব ছিলেন। তিনিও মুক্তমনা ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনো কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে লেখেননি। তিনি শুধু তার মতাদর্শের প্রকাশ ঘটাতেন। আহমেদ শরীফের সময়কালের নাস্তিক্যবাদ-লেখালেখি এবং বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ব্লগার ও মুক্তমনাদের মতাদর্শে পার্থক্য রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ব্লগারদের এসব লেখালেখি আমি নিজে পরিহার করি। গুরুত্ব দেই না। এসব নিয়ে ভাবার অবশ্য সময়ও নেই আমার, যোগ করেন ইমেরিটাস এ অধ্যাপক।

খ্যাতিমান সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, যারা ব্লগার ও মুক্তমনাদের হত্যা করছে তারা নিজেরাই পরিচয় ঘোষণা করছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না সরকারের পক্ষ থেকে। এ পর্যন্ত কোনো অপরাধীকে গ্রেফতারও করা হয়নি, আইনের আওতায়ও আনা হয়নি। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি না হওয়াতেই উগ্রবাদীদের তত্পরতা বাড়ছে। অবশ্যই এ উগ্রবাদীদের আটক করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, ব্লগাররা কী করছে, কী লিখছে সেটি তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সরকারের দায়িত্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। এতে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর