বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

জাপার কারণে ১/১১ : এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাপার কারণে ১/১১ : এরশাদ

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, এক-এগারো এসেছিল জাতীয় পার্টির কারণে। তিনি বলেন, ওই সময়ে আন্দোলন হলো— নো এরশাদ, নো ইলেকশন। ইলেকশন হলো না। ওয়ান-ইলেভেনের পরে ২০০৮ সালে নির্বাচন হলো। নির্বাচনে আমাকে রাষ্ট্রপতি ও দলকে আনুপাতিক হারে মন্ত্রী দেওয়ার চুক্তি ছিল, কিন্তু ক্ষমতায় এসে তারা ভুলে গেল। আগামী ১৪ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গতকাল বনানীর কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন তিনি। এইচ এম এরশাদ বলেন, কাউন্সিলে চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পরিবর্তন হবে না। এরশাদ বলেন, আমি ডার্টি পলিটিকস করি না। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কথা বলি না। এরশাদ বলেন, আমার স্ত্রী রওশন এরশাদ যদি পার্টির চেয়ারম্যান হতে আগ্রহী হন, তবে আমার কোনো আপত্তি নেই। তিনি চাইলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসারে তা লিখে দিতে রাজি আছি। আমি দলে বিভক্তি চাই না। তিনি বলেন, একান্নবর্তী পরিবারে যে সুখ, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারে সেই সুখ হতে পারে না। জাতীয় পার্টি হচ্ছে একটা পরিবার, একটা পরিবারই থাকতে চাই। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, এ কাউন্সিল দলের অস্তিত্বের লড়াই। আমি জীবনের শেষপ্রান্তে এসেছি। হয়তো আমার জীবনের এটাই শেষ কাউন্সিল। আমার বয়স হয়েছে। দলের প্রধান হিসেবে ৪০টি জেলা কাউন্সিলে নিজে উপস্থিত ছিলাম। আমি চাই আপনারা বিভক্তি ভুলে আমার সন্তান জাতীয় পার্টিকে আমার অবর্তমানেও বাঁচিয়ে রাখবেন। কাউন্সিলের তারিখ প্রসঙ্গে বলেন, কয়েকবার কাউন্সিলের তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। এবার নির্দিষ্ট তারিখ আগামী ১৪ মে জাতীয় কাউন্সিল হবে। আশা করি, বিভেদ ভুলে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশ নেবেন। জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে বলেন, আমরা প্রকৃত বিরোধী দল হতে পারিনি। বিএনপির সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আল্লাহর সঠিক বিচার হয়েছে, তাই বিএনপির আজ এ অবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে এইচ এম এরশাদ বলেন, এখন মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমার সময় তো র‌্যাব ছিল না। আমি তো নির্বিচারে অহরহ গুলি করার কোনো হুকুম দেইনি। এখন এসব কী হচ্ছে? মানুষ কথা বলার অধিকার পাচ্ছে না। তাহলে এটা তো আমার সময়ের চেয়েও বেশি খারাপ হয়ে গেছে। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান ট্যাপা, অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, হাবিবুর রহমান, সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, আজম খান, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম মওলা চৌধুরী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, বাহাউদ্দিন বাবুল, নুরুল ইসলাম নুরু, আহাদ চৌধুরী শাহীন, এনাম জয়নাল আবেদীন, ইসহাক ভূঁইয়া প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর