সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

এসআইসহ বিচার শুরু পাঁচজনের

আদালত প্রতিবেদক

এসআইসহ বিচার  শুরু পাঁচজনের

জাহিদুর রহমান

রাজধানীর পল্লবীর ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। মামলার আসামিরা হলেন, পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদ। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু জানান, অভিযোগ গঠনের আগে জামিনে থাকা মিন্টু, রাশিদুল আদালতে হাজির হয়। এছাড়া আসামি জাহিদুর আর সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। আসামি রাসেল পালাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।

এর ফলে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। তিনি জানান, ২০১৪ সালে মিরপুর থানায় নির্যাতন করে ঝুট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজন হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন এসআই জাহিদ। জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ইরানি ক্যাম্পে বিল্লাল নামে এক ব্যক্তির গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে ছিলেন জনি। এ সময় পুলিশের সোর্স সুমন মাতাল অবস্থায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করলে জনি তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। এতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে জনি চড় মারলে সুমন ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়ে চলে যায়। আধা ঘণ্টা পর এসআই জাহিদসহ কয়েকজন পুলিশ এসে জনিকে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে জনির মা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে  গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অন্য আসামিরা হলেন, তত্কালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার সাহা, পুলিশ কনস্টেবল নজুল, সোর্স সুমন ও রাসেল। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন পাঁচজনের বিরুদ্ধে এবং পাঁচজনকে অব্যহতির সুপারিশ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সর্বশেষ খবর