শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

ধাক্কা লাগলেই বলে আমি সহ-সম্পাদক

------ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের ‘সহ-সম্পাদক’ পদ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, উপকমিটির সহ-সম্পাদক ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়েছে। পার্টি অফিসের সামনে যার সঙ্গে ধাক্কা লাগে সেই বলে আমি আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক। কিন্তু তারা যে উপকমিটির সহ-সম্পাদক এটা বলে না।

গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত দফতর উপকমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘আসন্ন কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদকের সংখ্যা কমিয়ে একশ করা হবে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপকমিটির এই নেতাদের অনেকে আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। সহ-সম্পাদকের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে অনেকে নিজ জেলায় অনেক হুমকি-ধমকিও মারেন। তাই আগামী সম্মেলনে উপকমিটির সহ-সম্পাদকের সংখ্যা একশর মধ্যে কমিয়ে আনা হবে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই মুহূর্তে চারশর অধিক সহ-সম্পাদক রয়েছেন। এ পরিস্থিতি একটি সংগঠনের জন্য শুভকর নয়। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আগামী ৩০ মের মধ্যে সব জেলা এবং উপজেলার কাউন্সিলরদের নাম ঠিকানা কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ আওয়ামী লীগের ‘প্রধান শত্রু’। এ সময়ে সাম্প্রদায়িক উগ্রতা অনেক বেড়েছে। আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে সাম্প্রদায়িক উগ্রতা— যাকে আমাদের এক ও অভিন্নভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

একপর্যায়ে তিনি জানতে চান— কারও কোনো কথা আছে কিনা? এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস মোশাররফ হোসেন রাজা বক্তৃতা শুরু করেন। তিনি নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে বৈঠকে হট্টগোল শুরু হয়। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবদুল মান্নান, মৃণাল কান্তি দাস, এনামুল হক শামীম, এস এম কামাল হোসেন, শফি আহমেদ, সুজিত রায় নন্দী, শাহে আলম, ইকবালুর রহিম, নজরুল ইসলাম বাবু, নুরজাহান বেগম মুক্তা, মেহেজাবিন খালেদ, লিয়াকত সিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর