শনিবার, ৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

পুরনো আশঙ্কায় আজ চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন

গুলিতে নিহত যুবলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরনো আশঙ্কায় আজ চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন

ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতিতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ ভবন প্রাঙ্গণ থেকে গতকাল তোলা ছবি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণ আজ। তৃণমূলের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ভোট উৎসবে অংশ নিচ্ছেন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপের মতো আজকের ভোটেও সংঘাত-সহিংসতার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। গ্রাম-গঞ্জের এ নির্বাচনে লড়াই হবে মূলত প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে। এ নির্বাচনে যেমন বিরাজ করছে উৎসব আমেজ, তেমন সুষ্ঠু ভোট নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে চলছে উদ্বেগ। তবে ভোট-পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। যদিও এ ধাপসহ পরবর্তী নির্বাচনগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ‘শক্তভাবে’ দেখবে বলে ইসিকে আশ্বস্ত করেছে। এ ধাপে ৭০৩ ইউপিতে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ নিরাপত্তায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠিয়েছে ইসি। ২২ মার্চ প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ উৎসব। ছয় ধাপে জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে এ ভোট। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। গতকাল প্রত্যেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আজ ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি। ভোট গ্রহণের আগে প্রার্থীর এজেন্টদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাক্স খুলবেন সংশ্লিষ্ট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণে ব্যাপক সহিংসতা ঘটায় এ ধাপের ভোট নিয়ে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়। ভোট এলাকায় টানটান উত্তেজনা। কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা। এ ছাড়া সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রার্থীরাও। যদিও ইসি ভোটারদের অভয় দিয়ে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে নির্বাচনী এলাকায়। ইসি কর্মকর্তারা জানান, এ ধাপের ৭০৩ ইউপির মধ্যে ৩৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। সংঘাত-সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৩ হাজার ২৪৫ জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ১ হাজার ৫২২ জন। এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার র‌্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল শুরু করেছেন। তারা থাকবেন ভোটের পর দিন পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল ভোট গ্রহণের জন্য বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা থেকে কেন্দ্র কেন্দ্রে ব্যালট বক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হয়েছে। এ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায়। তাই এদিন ভোর থেকেই গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটেছেন চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীরা। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে এবারই প্রথম চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, ভোট সামনে রেখে সব ধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিসি-এসপি-রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বন্ধ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার, সভা-সমাবেশ ও শোডাউন নিষিদ্ধ করা হয়। ভোটের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টাও কোনো মিছিল করা যাবে না।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে : গোলযোগ-সহিংসতার মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের দলীয় এ নির্বাচনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বৃহস্পতিবার মাঠে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনাসংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২০ জন করে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োজিত রাখা হচ্ছে এবার। ইসির কর্মকর্তারা জানান, ইউপি ভোটের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় উপজেলাভিত্তিক মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তিন প্লাটুন করে বিজিবি রাখা হয়েছে। সঙ্গে থাকবে র‌্যাবের তিনটি টিমও। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।

শঙ্কায় প্রার্থীরা : ইউপিতে ভোট কেন্দ্র দখলের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অধিকাংশ বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রায় প্রতিটি ইউপিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি অনেক প্রার্থী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

যান চলাচল বন্ধ : চতুর্থ ধাপের ইউপি ভোট উপলক্ষে গত বুধবার থেকে নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে আজ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। এ ক্ষেত্রে ভোট গ্রহণের পূর্ববর্তী তিন দিন আগে থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রাখতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গত রাত ১২টা থেকে আজ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো প্রভৃতি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এ বিধি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতিসাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, সাংবাদিক, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিল থাকবে।

উল্লেখ্য, ছয় ধাপে ৪ হাজার ২৭৯ ইউনিয়নে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইসি। ২২ মার্চ প্রথম, ৩১ মার্চ দ্বিতীয়, ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ হয়েছে। আজ ৭ মে চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণ। এ ছাড়া ২৮ মে ৭১৪ ও ৪ জুন ৬৬০ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা।

চট্টগ্রামে গুলিতে যুবলীগ নেতা নিহত, বিভিন্ন স্থানে মারপিট : চতুর্থ ধাপে আজকের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে আরও সংঘর্ষ, মারপিট, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— চট্টগ্রাম : হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণার মিছিলে দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবলীগ নেতা নুরে এলাহী জুয়েল (৩২) নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুয়েল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি মির্জাপুর ইউপির আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছারের সমর্থক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা মোটরসাইকেল র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি মির্জাপুরের সরকারহাট বাজারের কাছে এলে দুর্বৃত্তরা গুলি চালায়। রাজশাহী : বাগমারায় গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রামরামা গ্রামের হ্যাচারি মোড়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় ২৫ জন আওয়ামী লীগ কর্মীকে মারপিট করেছে বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর সরকারের সমর্থকরা। এর আগের রাতে তারা তেলিপুকুর বাজারে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প এবং আওয়ামী লীগ কর্মী মজনুর রহমান, এশাদুল হক ও খোদা বক্সের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ঠাকুরগাঁও : সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর, রায়পুর রহিমানপুর, জামালপুর, রুহিয়া ও বড়গাঁও ইউনিয়নে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান-ই হাবীব অভিযোগ করেন, প্রচারণার শুরু থেকেই নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। একই অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থী আশরাফুলও। গাইবান্ধা : সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের মাঝে কাপড় (ব্লাউজ) বিতরণের সময় যুবলীগ কর্মী সামছুজ্জোহা সুমনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সকালে গাইবান্ধা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ আহম্মেদ এ জরিমানা আদায় করেন। গোপালগঞ্জ : উরফি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) মনির গাজী ও  নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইকবাল গাজীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৭৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : ফুলবাড়ীতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর  প্রচারণায় বাধা দিয়ে এক সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুর দেড়টায় নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বরিশাল : উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের কাংশি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ কাংশি বটতলা এলাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ সরদার ও তার সহযোগীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ : সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া, হরিশংকরপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মেম্বার প্রার্থীসহ ৯ জনকে মারপিট ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থক প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গতকাল বিকাল ৩টার দিকে ধোপাবিলা গ্রামের কওসারের বাড়ি থেকে মেম্বার প্রার্থী আমজাদ আলী ও তার সমর্থকরা প্রচারণা চালানোর সময় নৌকার প্রার্থী আশরাফের সমর্থকরা ১০-১২টি মোটরসাইকেলে করে এসে তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। লালমনিরহাট : গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর ও আদিতমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন ইউপি সদস্য প্রার্থীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। গুরুতর আহত রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৫-৬ যুবক ধারালো চাপাতি দিয়ে পেছন দিক থেকে কোপাতে থাকে। পরে লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পাবনা : আটঘরিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার সময় সন্ত্রাসী হামলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৮টি মোটরসাইকেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ খবর