শনিবার, ৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

সোনিয়া রাহুল মনমোহন আটক পরে মুক্তি

কলকাতা প্রতিনিধি

গণতন্ত্রকে বাঁচানোর দাবিতে দিল্লির রাজপথে নেমে পুলিশের হাতে আটক হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, দলের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গতকাল ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ (সেভ ডেমোক্রেসি) মার্চে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে দিল্লির যন্তর মন্তর থেকে এক বিশাল পদযাত্রা বের হয় সংসদ ভবনের উদ্দেশে। সোনিয়া ছাড়াও মিছিলে পা মেলান রাহুল গান্ধী,   মনমোহন সিং, মল্লিকার্জুন খাড়গে, গুলাম নবি আজাদ, রেণুকা চৌধুরী, আনন্দ শর্মা, এ কে অ্যান্টনিসহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা-নেত্রী ও কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। যন্তর মন্তর ছেড়ে মিছিল সংসদ ভবনের দিকে যেতেই পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়তে হয়। সে সময় ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে আটক করা হয় সোনিয়া-রাহুল-মনমোহন-এ কে অ্যান্টনিসহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের। পরে অবশ্য আধা ঘণ্টার মধ্যেই সোনিয়া-রাহুল-মনমোহন সিংকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে এদিন যন্তর মন্তরে মঞ্চ থেকে মোদি সরকাকের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সোনিয়া গান্ধী অভিযোগ করে বলেন, ‘অর্থের ক্ষমতা (মানি পাওয়ার) ব্যবহার করেই মোদি সরকার অরুণাচল ও উত্তরাখণ্ড রাজ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারকে বিতাড়িত করেছে। গণতান্ত্রিকভাবে একটি নির্বাচিত সরকারকে উত্খাত করে গণতন্ত্র হত্যা করছে বিজেপি সরকার। সভায় উপস্থিত কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের গণতান্ত্রিক উপায়ে মোদি সরকারের মুখোশ খুলে দেওয়ারও ডাক দেন সোনিয়া। মোদির আচ্ছে দিন (ভালো দিন)-এর স্লোগান দিয়ে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর মোদিজি আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কিন্তু আজ দেশের ৪০ শতাংশ অংশ খরায় ধুঁকছে, অথচ মোদি কিছুই করছেন না। আইন ভেঙে, একটা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরিয়ে দিয়ে অরুণাচল থেকে কংগ্রেস সরকারকে অপসারণ করা হয়েছে।’ কংগ্রেস সহ-সভাপতি আরও বলেন, ‘বর্তমানে এ দেশে মাত্র দুজন কথা বলতে পারেন— একজন হলেন নরেন্দ্র মোদি অন্যজন মোহন ভাগবত (্রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান)। এবং কেউ যদি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হবে।’ অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি গণতন্ত্রের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মনমোহন সিং। তিনি বলেন, ‘উত্তরাখণ্ড ও অরুণাচলে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে মোদিজি গণতন্ত্রের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এখন তারা কংগ্রেসশাসিত অন্য রাজ্যগুলোর ওপর কুনজর দিয়েছেন।’ কিন্তু গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখতে যা যা দরকার কংগ্রেস সব সময় তা করার চেষ্টা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর