সোমবার, ৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

যৌন হয়রানি স্বীকার করলেন শিক্ষক

আদালত প্রতিবেদক

যৌন হয়রানি স্বীকার করলেন শিক্ষক

রাজধানীর কলাবাগান থানায় দায়ের যৌন হয়রানির মামলায় আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলাম আসামির এ জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পার্থ কুমার চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, রিমান্ডে থাকাকালীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে আসামি ঘটনার কথা স্বীকার করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের এসআই আফরোজ আইরিন কলি আসামিকে আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করা কালীন বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের পড়া বোঝানো, টিউটোরিয়াল, অ্যাসাইনমেন্ট, গ্রুপ ডিসকাশন, থিসিস মূল্যায়ন, চারিত্রিক সনদ, পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানিসহ আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। গত ২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের এক ছাত্রীকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে আসামির নিজ বাসায় নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। আসামি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তিনি ওই শিক্ষার্থীর অশালীন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করার জন্য তার হেফাজতে রেখেছেন। একইভাবে আরও তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি তুলেছেন। এ ছাড়া আসামি নিজে এসব শিক্ষার্থীকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অশালীন ছবি পাঠাতেন। যৌন হয়রানির শিকার ওই শিক্ষার্থীরা আদালতে এসে এসব ব্যাপারে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামির কাছ থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। এর আগে তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদী হয়ে মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর